যুগধর্ম প্রবর্তাইমু নাম সংকীর্তন।
চারি ভাব ভক্তি দিয়া নাচাইমু ভুবন ॥
– শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত আদি ৩.১৯
কলিযুগে যুগধর্ম- নামের প্রচার।
তথি লাগি’ পীতবর্ণ চৈতন্যাবতার ॥
– শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত আদি ৩.৪০
ব্যক্ত করি’ ভাগবতে কহে বার বার।
কলিযুগে ধর্ম- নামসংকীর্তন সার ॥
– শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত আদি ৩.৫০
সংকীর্তন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।
সংকীর্তন যজ্ঞে তারে ভজে, সেই ধন্য।
সেই ত’ সুমেধা, আর কুবুদ্ধি সংসার।
সর্বজ্ঞ হৈতে কৃষ্ণনামযজ্ঞ সার ॥
– শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত আদি ৩.৭৭/৭৮
নাম বিনা কলিকালে নাহি আর ধর্ম।
সর্বমন্ত্রসার নাম, এই শাস্ত্রমর্ম ॥
– শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত আদি ৭.৭৪
তবে প্রভু যুগধর্ম স্থাপন করিতে।
সাঙ্গোপাঙ্গে অবতীর্ণ হন পৃথিবীতে ॥
কলিযুগে ‘ধর্ম হয় ‘হরি-সংকীর্তন’।
এতদর্থে অবতীর্ণ শ্রীশচীনন্দন ॥
– শ্রীচৈতন্যভাগবত আদি ২.২১
ঈশ্বর ভজন অতি দুর্গম অপার।
যুগধর্ম স্থাপিয়াছে করি’ পরচার ॥
চারিযুগে চারি ধর্ম রাখি ক্ষিতি তলে।
স্বধর্ম স্থাপিয়া প্রভু নিজ স্থানে চলে ॥
কলিযুগ ধৰ্ম হয় নাম সংকীর্তন।।
চারিযুগে চারি ধর্ম জীবের কারণ ॥
অতএব কলিযুগে নামযজ্ঞ সার।
আর কোনো ধর্ম কৈলে নাহি হয় পার ॥
– শ্রীচৈতন্যভাগবত আদি ১৪.১৩৩/১৩৯
সংকীর্তন আরম্ভে মোহার অবতার।
কীর্তন বিরোধী পাপী করিমু সংহার ॥
– শ্রীচৈতন্যভাগবত মধ্য ২৩.৪০২
মোর এই সংকীর্তন যজ্ঞের মহিমা।
সর্বশাস্ত্রে কহে ইহার মহিমা গরিমা ॥
সর্বধর্মসার এই সংকীর্তন ধর্ম।।
বিশেষ জানিবে কলিযুগে এই কর্ম ॥
– শ্রীচৈতন্যমঙ্গল মধ্য ৯.৭৩/৭৪
এতাবানেব লোকেহস্মিন্ পুংসাং ধর্মঃ পরঃ স্মৃতঃ।
ভক্তিযোগো ভগবতি তন্নামগ্ৰহণাদিভিঃ॥
অনুবাদ: ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন থেকে শুরু হয় যে ভক্তিযোগ, তা-ই মানব সমাজে জীবের পরম ধর্ম।
– শ্রীমদ্ভাগবত ৬.৩.২২