‘দিওয়ালি’ বা ‘দীপাবলি’ আমাদের দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় উৎসব। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অত্যন্ত ধুমধামের সহিত উদযাপিত হয় এই উৎসব। দীপাবলি হল মন্দের উপরে ভালোর জয়যাপন।
কথিত আছে, ১৪ বছরের বনবাসের পর অযোধ্যাতে ফিরে আসা ভগবান রামের স্মরণে উদযাপিত হয় এই উৎসব। দীপাবলী মূলত পাঁচ দিনের উত্সব। প্রতিবছরই সবার জীবন থেকে অন্ধকার দূরে সরিয়ে আলো নিয়ে আসে দীপাবলি।
তবে, ‘দিওয়ালি আসছে…’ এই কথাটা আরও মনে করিয়ে দেয় যে উৎসব সেটা হল,’ধনতেরাস’। দীপাবলির কয়েকদিন আগে পালিত হয় এটি। ধনতেরাস আসা মানেই দীপাবলি আসা। বিশেষত, এই রীতি পালনের প্রচলন অ-বাঙালিদের মধ্যে হলেও, বর্তমানে বাঙালিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এটি। ধনতেরসের পরের দিন পালিত হয় ভূত চতুর্দশী।
ধনতেরাস বা ধন ত্রয়োদশী বা ধন্বন্তরি ত্রয়োদশী হলো হিন্দুদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি উৎসব। সকল ধার্মিক হিন্দুরা এই উৎসবে ভক্তি এবং শ্রদ্ধা সহকারে পালন করে থাকে। এর আর এক নাম আছে। ধনাত্রয়োদশী বা ধনবত্রী ত্রয়োদশী।
“ধন” শব্দের মানে সম্পত্তি। ত্রয়োদশী শব্দের অর্থ হিন্দু ক্যালেন্ডারের ১৩তম দিন। দীপাবলীর সময় লক্ষীপুজোর দিন দুই আগে ধনতেরাস হয়। হিন্দু ধর্ম মতে এদিনই বিষ্ণুর থেকে লক্ষ্মীর কাছে শক্তি প্রবাহিত হয়। এই শক্তি সেখান থেকে গোটা সৃষ্টির মধ্যে ছড়িয়ে দেন লক্ষ্মী দেবী।
বলা হয়, ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী তার ভক্তদের গৃহে যান ও তাদের ইচ্ছাপূরণ করেন। সম্পদের দেবতা কুবেরও এদিন পূজিত হন। লোককথা অনুযায়ী এদিন কোনো জিনিস কিনলে তার বহু গুণ বৃদ্ধি পায়।
ধনতেরসের দিন নতুন সোনা বা জামা কাপড় ও কেনা হয়। সুস্বাদু খাবার তৈরি ও রংগোলি তে ভরে ওঠে সকলের বাড়ি। মাডোযারি সম্প্রদায়ের মানুষ রা ধনতেরসের দিন কুবের ও লক্ষীর পূজো করে।কারণ কুবের ও লক্ষী এদের সম্পদের রক্ষাকারী হিসেবে পূজিত করা হয়।