শ্রীকৃষ্ণের গিরি গোবর্ধন কে এক আঙ্গুলীতে তুলে নেওয়ার আরো একটি কারণ পাওয়া যায় পৌরাণিক কাহিনিতে। ত্রেতা যুগে মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ সহ ১৪ বছরের বনবাসে গেলেন।
তখন দুষ্টু রাবণ সীতাকে অপহরণ করে লংকাতে নিয়ে যায়। অপহৃত হওয়ার পর হনুমান যখন সীতার খোঁজ নিয়ে আসলেন তারপর সীতাকে উদ্ধারের জন্য রাম; লক্ষ্মণ, হনুমান ও অন্যান্য অনেক বানর সেনা নিয়ে লংকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।
সমুদ্র অতিক্রম করার জন্য বিশ্বকর্মা পূত্র নল সমুদ্রের উপরে পাথর দিয়ে সেতু নির্মান করতেছিলেন। তখন পাথর কম পড়বে মনে করে হনুমান অনেক পাহাড় কে একত্রিত করে এই রামসেতু তৈরীতে ভূমিকা রাখেন।
এরপর যখন রামসেতু তৈরী করার জন্য এরকম ভাবে গোবর্ধন পর্বত কে হনুমান উত্তোলিত করতেছিলেন তখন গোবর্ধন পর্বত একটা শর্ত দিয়েছিলেন; “যেন তাঁকে ভগবানের সেবা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সুযোগ দেয়া হয়।”
হনুমান তখন হঠাৎ করে খোঁজ পেলেন যে রামসেতু তৈরী করা হয়েগেছে। তখন হনুমান গোবর্ধন পর্বত কে বর্তমান স্থানে স্থাপিত করে দেন। পথিমধ্যে হনুমান গোবর্ধন পর্বত কে নামিয়ে রাখায় গোবর্ধন পর্বত ভগবান রামচন্দ্রের সন্তুষ্টি অর্জনের সুযোগ না পাওয়ায় হনুমান কে দোষারোপ করতে শুরু করেন।
তখন হনুমান গোবর্ধন পর্বত এর কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে তাঁকে যেন ভগবান সেই সুযোগ করে দেন এর ব্যবস্থা তিনি করবেন। তখন হনুমান ভগবান রামচন্দ্রকে পুরো ঘটনা টা খুলে বললেন।
রামচন্দ্র তখন হনুমান কে আশ্বস্থ করলেন যে তিনি হনুমানের কথা বাস্তবায়ন করবেন। এবং দ্বাপর যুগে যখন জন্মনিবেন তখন গোবর্ধন পর্বত সেই শর্ত পূরণ করবেন। দ্বাপর যুগে ভগবান রামকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করার পর গিরিগোবর্ধন কে এক আংগুলীতে তুলে ধররেন। এবং গিরিগোবর্ধনের ইচ্ছাটাও পূরণ হলো।
সোর্সঃ ইন্টারনেটের বিভিন্ন সূত্র হতে সংগ্রহিত