অন্নপ্রাশন ও এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য

অন্নপ্রাশন কি?
হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ উৎসব। অন্নপ্রাশন হিন্দুধর্মীয় সংস্কার বিশেষ। দশবিধ শুদ্ধিজনক সংস্কারের অন্যতম একটি হচ্ছে অন্নপ্রাশন। অন্নের প্রাশন বা ভোজনকে অন্নপ্রাশন বলে।‘অন্ন’ শব্দের সাধারণ অর্থ যে-কোনো খাবার, বিশেষ অর্থ ভাত; আর ‘প্রাশন’ শব্দের অর্থ খাওয়া। আক্ষরিকভাবে ‘অন্নপ্রাশন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘ভাত খাওয়ানো’ বা শিশুর প্রথম ভাত খাওয়া অনুষ্ঠানকেই বলা হয় অন্নপ্রাশন।। অন্যভাবে এই অনুষ্ঠানটিকে বলা হয় ‘মুখে ভাত’। মানে হচ্ছে আপনার শিশুর জীবনে মায়ের দুধের পর প্রথম শক্ত খাবারের যাত্রা শুরু। অর্থাৎ এই অনুষ্ঠানের পর থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি শক্ত খাবার দেওয়া শুরু হয়। সাধারণত বাঙালীদের মধ্যেই এই অনুষ্ঠানের চল রয়েছে এবং দেশের বেশিরভাগ অংশেই কিছুটা ব্যতিক্রমীভাবে হলেও এই অনুষ্ঠানটি করা হয়ে থাকে।

কেন করা হয় অন্নপ্রাশন?
সাধারণত সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সন্তান যদি বালক হয়, তবে ৬ষ্ঠ কিংবা ৮ম মাসে এবং বালিকা হলে ৫ম কিংবা ৭ম মাসে অন্নপ্রাশন করতে হয়। সনাতন ধর্মে বলা হয়, শিশুর দাঁত উঠার আগেই অন্নপ্রাশন করা উচিত। এর কারণ যদিও অজানা, তারপরও ধরে নেওয়া যায় যে, এসময়টাতে একটি শিশুর তরল খাবারে আর পুষ্টি সবটুকু চাহিদা পূরণ হয় না। তাকে তখন ভারী খাবার প্রয়োজন আছে বলেই সময়টাকে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ধর্মীয় বিধানে। তাছাড়া, এই ছয় মাস ইঙ্গিত দেয় যে, আপনার শিশু এখন ভারী খাবার খেতে সক্ষম। ছেলে শিশুর জন্য বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ছয় থেকে আট মাস, অর্থাৎ জোড় মাস অন্যদিকে মেয়ে শিশুর জন্য বেজোড় হিসাবে পাঁচ থেকে সাত মাস।

এই অনুষ্ঠানটি কোথায় হয়ে থাকে?
সাধারণত নিজ বাড়ি অথবা মামা/দাদার বাড়িতে অন্নপ্রাশনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতে সন্তানের মামার উপস্থিতি বাঞ্চনীয়। প্রচলিত আছে, মামাকেই প্রথম ভাত তুলে দিতে হয় বোনের সন্তানের মুখে। অনুষ্ঠানটির সঙ্গে ধর্মীয় কিছু বিষয় জড়িত বলে যারা এর আচার বিষয়ে জানেন, তাদের ডেকে নেওয়াই ভাল।

কিভাবে হয় এই অন্নপ্রাশন?
বাবা-মা বা পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরা এজন্য একটি শুভ দিনক্ষণ ঠিক করেন। বাচ্চাকে নতুন কাপড় পরানো হয়। সাধারণত শিশুর স্বাস্থ্য, কল্যাণ আর সমৃদ্ধি কামনা করে শুরুতেই ধর্মীয় কিছু আচার-আচরণ পালন করতে হয়। এরপরেই তার মুখে ভাত তুলে দেওয়া হয়। পরিবারের উপরই নির্ভর করে কে এই ভাত তুলে দেবেন। মূলত এই অনুষ্ঠানটি হচ্ছে শিশুর জন্মের পর একটি পরিবারে নিকটজনদের পুনর্মিলনী।

ধর্মীয় বিভিন্ন আচারের মধ্যে একটি হচ্ছে, কলা পাতা বা কাঁসার বড় থালায় করে কলম, খাতা, টাকা, অলংকার, মাটি, ধান জাতীয় বেশকিছু জিনিস রেখে দেওয়া হয় এবং শিশুটির সামনে তা তুলে ধরা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, শিশুটি হাত বাড়িয়ে যে জিনিসটা ধরবে, অর্থাৎ সে যে জিনিসটার প্রতি আকৃষ্ট হবে, বড় হয়ে সে সেটাই হবে। যেমন, কোন শিশু যদি কলম-খাতা ধরে তবে বলা হয় সে বড় হয়ে লেখাপড়া জানা মানুষ হবে, বিদ্বান হবে। আবার সে যদি টাকায় হাত দেয়, তার মানে সে ব্যবসায়ী জাতীয় কিছু হবে। মাটি ধরলে জমিবাড়ির মালিক হবে। ধান ধরলে কৃষিকাজে মনোযোগী হবে। মনে রাখতে হবে, এগুলো সবই ধর্মীয় বিধান থেকে উদ্ভুত ধারণা, বাস্তবের সাথে মিল হয়তো কমই পাওয়া যাবে।

কি ধরনের খাবার সাধারণত শিশুকে দেওয়া হয়?
শিশুর প্রথম শক্ত খাবার হিসাবে মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়াতে চাইলে ক্ষীর বা পায়েসই দেওয়া হয়ে থাকে। অথবা সাদা ভাত একটু ঘি দিয়ে নরম করে তারপর দেয় অনেকেই। অনেকে আবার এর সঙ্গে বিশেষভাবে রান্না করা ডালও যোগ করে থাকেন। তবে মজার বিষয় হলো, শিশুর সামনে সাধারণত মাছ, মাংস, নিরামিষসহ সব ধরনের খাবারই অল্প অল্প করে সুন্দর করে পৃথক বাটিতে সাজিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু খাওয়ানো হয় সামান্যই। পরে সেই খাবার অন্যদের মধ্যে পরিবেশন করা হয়।


কারা করেন এই অনুষ্ঠান?
প্রত্যেক শিশু জন্মের পরপরই সবারই অন্নপ্রাশন করাতে হয়। তাই সকল পরিবার এই অনুষ্ঠান করতে সচেষ্ট থাকেন। যে যার সাধ্যমত এই অনুষ্ঠান পালন করে নিজের সন্তানের অন্নপ্রাশন করাতে চান। তবে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। সেখানে আত্মীয়-স্বজনরা নিমন্ত্রিত হয় এবং শিশুর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাপূর্বক শিশুকে উপহারসহ আশীর্বাদ করে। এ অনুষ্ঠান ঘরেও হতে পারে, কিংবা কোনো মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও হতে পারে। সম্পূর্ণ ধর্মীয় পরিবেশে এ অনুষ্ঠান করার শাস্ত্রীয় বিধান থাকলেও ইদানীং তা অনেকটা শিথিল হয়েছে; তবে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্ব এখনও অটুট রয়েছে।

অন্নপ্রাশন বা মুখে ভাত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কিছু বিষয়:
* অনুষ্ঠানের আগে আপনার এবং আপনার শিশুর পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন।
* সকালে স্নান বা গোসলের পর এবং দিনের বেলায় ঘুমের মাঝখানের সময়টাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে।
* শিশু যাতে বেশি পরিমাণে উত্তেজিত না হয়ে পড়ে সেজন্য অনুষ্ঠানটি যথাসম্ভব পরিবারের খুব কাছের মানুষজনের মধ্যে সীমিত রাখা।
* শিশুকে কি কাপড় পরাচ্ছেন সেটি বিশেষভাবে জরুরি। পোশাক যেন বেশি ঝলমলে না হয়, অর্থাৎ জরি বা গ্লাস সেট করা বা ভারী অ্যাম্ব্রয়ডারি করা কোন কাপড় শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
* শিশুকে খাওয়াচ্ছেন যিনি তার হাতটা পরিস্কার রাখা খুব জরুরি।
* শিশুর খাবার যেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বজায় রেখে রান্না করা হয়। মনে রাখবেন, প্রথম খাবারেই যদি কোনরকম উল্টাপাল্টা কিছু ঘটে, তাহলে অনেকদিন হয়তো এ নিয়ে আপনাদের ব্যস্ত থাকতে হবে। তাই সম্ভব হলে অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজেই প্রথম রান্নাটি করুন। এতে একধরনের মানসিক প্রশান্তিও আপনি অনুভব করবেন।
* শিশুকে খাওয়ানোর পর তার মুখের চারপাশে লেগে থাকা খাবার মুছে দেওয়ার জন্য একটি ছোট্ট টাওয়েল সাথে রাখুন।
* একজন ছাড়া যদি আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের কেউ শিশুকে খাওয়াতে চান তবে লক্ষ্য রাখুন তার হাত পরিস্কার কিনা, আর তা যেন নামমাত্র খাবার হয়।
* এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র শিশুর জীবনেই না, তার বাবা-মায়ের জন্যও খুব আনন্দের। কাজেই সামর্থ্য থাকলে একটা নতুন কাপড় এই অছিলায় নিয়ে নিন না। মন ভাল লাগবে।
* তাছাড়া, অনুষ্ঠানে যারা আসছেন তাদের জন্য ছোট্ট কোন উপহারের ব্যবস্থা আপনি রাখতে পারেন। এতে অতিথিরাও খুশি হবেন।
* সবচেয়ে বড় কথা, শিশুর জন্মের পর এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান স্মৃতিতে ধরে রাখার বিকল্প নেই। কাজেই ছবি তুলে বা ভিডিও করে তা রেখে দিন যত্নের সাথে। আপনার শিশুর সারাজীবনের আনন্দের সঙ্গী হয়ে থাকবে এই অনুষ্ঠানটি, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

অন্নপ্রাশন

শিমুল শুভ্র

হৃদয়সমুদ্রে আজ উত্তাল গগন
আরব সীমান্তের কোন এক কোণে
পড়ে আছে আমার দেহ,মনে ছুটে গেছে
সেই সূর্য আলো ছড়িয়ে থাকা আমার আঙ্গিনায়।

আজ আমার অর্ঘ্য সোনার মুখে প্রসাদ,
হৃদয় জ্বলছে আমার বদ্ধ ঘরে একাকিত্তে প্রবাসে,
প্রতি মুহূর্তে অর্ঘ্য বুঝি চেয়ে আছে বাবা আসবে…
শত মানুষের ভীড়ে বাবা কোথায় ?

প্রভাতে আলাপকালে তার কয়েক পশলা
মিষ্টি হাসি শুনেছি, হাসিতে যেন আকুতি ভরা,
মুহূর্তে মন টা নড়বড় করে উঠলো,সুগম্ভীর কণ্ঠস্বর
হৃদয় গভীরে বেজে উঠলো যেন তার অন্তরের কথা গুলো।

অপূর্ণ স্বপন-সৃষ্ট,আমার মনে পূর্ণ আত্মা জেগে উঠেছে
কখন তাকে কোলে তুলে নিবো ?ভালোবাসার স্নেহে ভরিয়ে দিব।
জ্যোতির্ময় ক্ষণের সেই অপেক্ষা পুষে আছি এই মনের গভীরে,
তার,আমার অস্তিত্ব মিশে যাবে গভীর প্রেমে আমার আবির্ভাবে।

হে জগতপিতা প্রভু, তোমার চরণ তলে সমার্পণ করেছি
তাকে দুর্জয় ন্যায়ের রাইফেল ধরিয়ে দাও জীবনের খেয়াঘাটে
প্রদীপের মঙ্গলঘটে বাইতে দাও জীবনে নৌকা,
সুস্থতায় ভরিয়ে রেখ তার মাটির দেহখানি,জীবন যুদ্ধে ।

#অন্নপ্রাশন (মুখেভাত) উপলক্ষে

#মিষ্টি _মেয়ে_অহনাকে

দেবতোষ রায়

অহনা ভেবনা দাদুরা বুড়োরা
হয়নি চেতনা হারা,
আবার মাতিবে ফেসবুক ঘিরে
তুমি সে নয়নতারা।
যবে হবে বড় স্মৃতিরা ফিরাবে
শৈশব পাবে ফিরে,
নীরবে হাসিবে পুলকে নাচিবে
পাগলামী মনে করে।
এমন ভাগ্য অহনা তোমার
ক`জন শিশুরা পায়!
সবার হৃদয় লভিয়াছো তুমি
জানোনা কি পরাজয়!
যে স্রোতে চলেছো খুজেছো দু’কূল
তীর খুঁজে পাবে তুমি,
মম প্রার্থনা বিজয়িনী হবে
বড় হয়ে হবে দামী।
আজি উৎসবে একসাথে সবে
দেবে আশীর্বাদ বানী,
বড় হবে তুমি আরো আরো বড়ো
ধনে জ্ঞানে মনে রাণী।

অন্নপ্রাশনের গান

আনন্দময়ী

ছয় মাসের রঘুনাথ জননীর কোলে।
কেলী করে দেখে রাজা মন কুতূহলে॥
নব শশী জিনি কান্তি বাড়ে দিন দিন।
কত পূর্ণ শশী মুখ হেরিয়া মলিন॥
অন্নপ্রাশনের হেতু কৈলা অনুমতি।
আসিলেন বশিষ্ঠ ঋষি অতি হৃষ্ট মতি॥
শুভ তিথি বার আর নক্ষত্র বিহিত।
বিচারিয়া শুভক্ষণ কহেন পুরোহিত॥
নানা মত করিলেন মঙ্গল রচন।
নানা স্থানে নাচে গায়ে যত বামাগণ॥

 

মুখে ভাত

অনীক মজুমদার

আমার আজ মুখে ভাত
খাব সাথে দুধ ভাত
আসবে তোমরা তাড়াতাড়ি
আমার বা আমাদের বাড়ী।

দাদাভাই করেছে নিমন্ত্রণ
জলদি এসো কাকাইমনি।

আমি এখন অনেক ছোট
কইতে না পারি কথা
তাই তোমাদের নিমন্ত্রণ করেছি
দাদাভাইকে দিয়া।

সবে বয়স পাঁচ পেড়িয়ে পড়লাম ছয়েতে
দেড়িতে আসলে কেঁদে কেঁদে পড়বো ঘুমিয়ে।

চিনি নাকো তোমাদের আমি, চিনবো আজ আমি
চিনবে আমার আত্মীয় স্বজন, চিনবে মা বাপি।

আজ খাব দুধ ভাত, কাল খাব মাছ
পরশু খাব সবজি বা ডাল
তরশু কোরমা পোলাও।

তোমাদের জন্যে আছে খাসি, মুরগী কিংবা কই
আমি এখন ছোট বলে খাব শুধুই দই।

শিশুকে কি কি দিবেন আর কি কি দিবেন নাঃ
দিতে পারেন সব কিছুই
আপনি বাড়িতে যা খান তার প্রায় সব উপাদানই ধীরে ধীরে শিশুকে দিতে পারেন। তবে একেকটি নতুন খাবার দেওয়ার পর অন্তত এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। এরপর আরেকটি খাবার দিন। চাল-ডালের নরম খিচুড়ি দিয়ে শুরু করে তাতে একে একে সবজি, মাছ, মুরগি ইত্যাদি চটকে মিশিয়ে দেওয়া যায়। আলু, মিষ্টি আলু, সুজি, পায়েস, হালুয়া, সেমাই, পুডিং, ফল ও ফলের রস, ডাল-ভাত সবই একে একে শুরু করুন। রান্নায় পর্যাপ্ত তেল দেবেন, নয়তো ভিটামিন দ্রবীভূত হবে না। শাকসবজি ঢেকে রান্না করলে ভিটামিন নষ্ট হয় না। বাসি খাবার দেবেন না, শিশুর খাবার ঢেকে রাখবেন। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবেন। খাবার পানি অন্তত ৩০ মিনিট ফুটাতে হবে। তৈজসপত্রও ফুটানো পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া ভালো।

ব্লেন্ডারের তরল নয়
শিশু শক্ত খেতে পারবে না বলে মায়েরা সব কিছু ব্লেন্ডারে তরল করে খাইয়ে থাকেন। এটি ঠিক নয়। শিশুর স্বাদগ্রন্থি ও রুচি তৈরি হওয়ার জন্য আধা শক্ত দানাদার খাবারের দরকার। তরল খাবারে অভ্যস্ত হলে পরে শিশুরা আর শক্ত খাবার খেতে পারে না। তরল খাবার বোতলে ভরে খাওয়ানো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর একটি অভ্যাস। শিশুকে দানাদার ও আধা শক্ত খাবার বাটি-চামচ ব্যবহার করে খাওয়ান। ধীরে ও ধৈর্য ধরে খাওয়ান, তাড়াহুড়া করবেন না।

টিনজাত খাবারকে না বলুন
টিনজাত খাবারে উচ্চ ক্যালরি থাকলেও আঁশ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান নেই। বাজারে যেসব টিনজাত খাবার বা রেডিমেড খাবার পাওয়া যায় তাতে নানা ধরনের খাদ্য সংরক্ষক ও রাসায়নিক মেশানো থাকে। তাই টিনজাত খাবারকে না বলুন।

ঘন ঘন খাবার নয়
শিশুকে এক বা দুই ঘণ্টা পর পর খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। খিদে পেতে দিন। একবার পেট ভরে খেলে পাকস্থলি খালি হতে তিন-চার ঘণ্টা লেগে যাওয়ার কথা। বড়দের মতো সকাল, দুপুর ও রাতে তিনবার মূল খাবার রাখুন। এর মধ্যে আরও দুবার হালকা নাশতা। খাবার নিয়ে জোর করলে খাদ্যে অনীহা আসবে, কখনো বমি হবে।

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.