আগামী কয়েকদিনের বিশেষ পূজা ও উৎসবগুলো দেখে নিন

 আগামী ২ নভেম্বর ধনতেরাস

সামনেই দীপাবলি। তার আগেই ধনতেরাস। কার্তিক মাসের ত্রয়োদশী। এই তিথিতে ধনতেরস উৎসব। ধনদেবীর আরাধনার এক বিশেষ দিন। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ভারতেই এর চল থাকলেও এখন বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয় ধনতেরস।মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ধনতেরাস পালিত হবে। এ দিন প্রদোষ কাল সন্ধ্যা ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে রাত ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। আবার বৃষ কাল থাকবে সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিট থেকে রাত ৮টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত। ধনতেরাসে পুজোর শুভক্ষণ সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিট থেকে রাত ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত থাকছে।

 

আগামী ৩ নভেম্বর ভূতচতুর্দশী

কালীপুজোর আগের দিনকে ভূতচতুর্দশী বলা হয়। এই দিনটির পিছনে আছে একটি পৌরাণিক কাহিনি। দানবীর হিসাবে দানবরাজ বলির বড্ড অহংকার। পুরাণেরকালে তিনি স্বর্গ মর্ত্য ও পাতালের অধীশ্বর হয়েছিলেন। এতে ধীরে ধীরে একসময় দারুণ সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন দেবতারা। তখন দেবগুরু বৃহস্পতির পরামর্শে ভগবান বিষ্ণু বামনরূপে এসে তাঁর পা রাখার জন্য তিন পা পরিমাণ জমি ভিক্ষা চাইলেন রাজা বলির কাছে। স্বয়ং বিষ্ণু যে এসেছেন রাজার কাছে এ বিষয়টা পরিস্কার ছিল, কিন্তু কোনওভাবে এতটুকুও বিষ্ণুকে বুঝতে দেননি রাজা বলি। তবুও তিনি দান দিতে রাজি হলেন কথা রক্ষার্থে। বামনরূপী ভগবান বিষ্ণু একটা পা রাখলেন স্বর্গে, আর একটা পা দিলেন মর্তে। এবার নাভি থেকে বের হল আর একটা পা। এই পা রাখলেন রাজা বলির মাথায়। এর পর ধীরে ধীরে বলি ঢুকে গেলেন পাতালে। বলি জেনে বুঝেও দান দিয়েছিলেন বলে ভগবান বিষ্ণু রাজা বলির নরকাসুর রূপের পুজোর প্রবর্তন করেন মর্ত্যলোকে। নরকাসুররূপী বলি রাজা কালীপুজোর আগের দিন ভূতচতুর্দশী তিথিতে মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে। সঙ্গে থাকে রাজার অসংখ্য অনুচর হিসাবে পরলোক জগতের ভূত প্রেতরা। তাদের দূরে রাখার জন্য জ্বালানো হয় প্রদীপ। তিথিটা চতুর্দশী, তাই জ্বালানো হয় ১৪ টা প্রদীপ। প্রদীপগুলি নিবেদিত হয় স্বর্গীয় পিতৃপুরুষ, প্রেতাত্মা, ধর্ম, রুদ্র, বিষ্ণু, কান্তারপতি বা অরণ্যে অধিষ্ঠিত দেবতাদের উদ্দেশ্যে।

আগামী ৪ নভেম্বর কালীপূজা

৫ নভেম্বর গৌবর্ধনপূজা ও অন্নকূটমহাউৎসব

ইন্দ্রের কোপ থেকে রক্ষা করার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং কড়ে আঙুলে গোবর্ধন পাহাড়কে ধারণ করেছিলেন। গিরি গোবর্ধন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি স্বরূপ । কথিত আছে কেবল ব্রজ বাসী ( বৃন্দাবনের স্থায়ী বাসিন্দা ) রাই এই পর্বতে উঠতে পারেন। বাকীরা পারেন না। এই পর্বতকে অনেকে পরিক্রমা করেন।ভগবানের লীলাকে স্মরণ করে আজও ভক্ত বৃন্দরা গিরি গোবর্ধনের পূজা করেন। সাথে হয় অন্নকূট উৎসব । ভগবানের অসীম ক্ষমতা। যিনি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ধারণ করে আছেন, তার পক্ষে একটি পর্বত তৃন সমান 

আগামী ৬ নভেম্বর ভাই ফোটা ও ধর্মরাজ যমরাজ পূজা

ভাই ফোটা  উৎসবের পোষাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়। মাঝেমধ্যে এটি শুক্লপক্ষের ১ম দিনেও উদযাপিত হয়ে থাকে। পশ্চিম ভারতে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত। 

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.