কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার সময়সূচী

উমা চলে যাবার পর খুব মন খারাপ। কিন্তু মন খারাপের সময় কই ,তার পরই তো মা লক্ষ্মী আসেন আমাদের ঘরে। তাকে নিয়েই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়।

সাধারণত কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে সারারাত জেগে থাকার বিধি আছে। এই পূজার সঙ্গে কৃষকদের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই শোনা যায় সারারাত জেগে তারা ওইদিন শস্য পাহাড়া দেয়। সঙ্গে মার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া হয়।

আবার অনেকে মনে করেন, লক্ষ্মী দেবী চঞ্চলা তাই সারারাত জেগে তাকে পাহাড়া দেওয়া হয়, যাতে তিনি পালিয়ে না যান। এই কথা মা ঠাকুমাদের মুখে প্রায়ই শোনা যায়।

লক্ষ্মীদেবী ধনসম্পদ তাকেই দেন যে তার পুরো মর্যাদা দেয়। যে সেই ধনসম্পদ সমাজের কল্যাণে কাজে লাগায়। তাই লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা অত্যন্ত শুদ্ধ মনে করতে হয়। মা লক্ষ্মী অল্পেই খুশী হন। তাই এই পূজায় খুব একটা বাহুল্য নেই। যে যার সাধ্যমত পূজা করে।

সূর্যসিদ্ধান্ত মতেঃ ভারত

পূর্ণিমা শুরু হবে ১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টা ৪৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড

পূর্ণিমা শেষ হবে ভারতীয় সময় ২০ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত ৭ টা ৩৬ মিনিট ০৭ সেকেন্ড

 

সূর্যসিদ্ধান্ত মতেঃ বাংলাদেশ

পূর্ণিমা শুরু হবে ১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত ৭ টা ১৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড

পূর্ণিমা শেষ হবে ২০ অক্টোবর ২০২১ তারিখ রাত ৮ টা ০৬ মিনিট ০৭ সেকেন্ড

 

১৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে পূর্ণিমার নিশিপালন, শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ ব্রত ও শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। রাত্রিতে কোজাগরকৃত্য। নারিকেল সহিত চিপিটক ভক্ষণ, নারিকেল জলপান ও অক্ষক্রীড়া দ্বারা রাত্রি জাগরণে ধনবৃদ্ধি।

 

 

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতেঃ ভারত

পূর্ণিমা শুরু হবে ১৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাত ৭টা ০৫ মিনিট

পূর্ণিমা তিথি শেষ ২০ অক্টোবর, বুধবার, রাত ৮টা ২৭ মিনিট

পূর্ণিমার ব্রতোপবাস প্রদোষে (সন্ধ্যা ৫টা ০৪ মিনিট গতে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের মধ্যে) শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা।

 

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতেঃ বাংলাদেশ

পূর্ণিমা শুরু হবে ১৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাত ৭টা ৩৫ মিনিট

পূর্ণিমা তিথি শেষ ২০ অক্টোবর, বুধবার, রাত ৮টা ৫৭ মিনিট

পূর্ণিমার ব্রতোপবাস প্রদোষে (সন্ধ্যা ৫টা ৩৪ মিনিট গতে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে) শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা।

 

লক্ষ্মী পুজোয় যা যা করবেন না

• লক্ষ্মী পুজোয় কখনওই তুলসী পাতার ব্যবহার করবেন না। কারণ তুলসী বিষ্ণুর খুব প্রিয় এবং শিলায় আটকে থাকার সময় বিষ্ণুর সঙ্গে বিয়ে হয়৷ ফলে তুলসী সতীন হয় লক্ষ্মীর।
• লক্ষ্মী পুজোর সময় যে বাতিই জ্বালান না কেন তা যেন লাল রঙের হয়। অন্যান্য রঙের বাতি জ্বালানো কখনই উচিত্‍ নয়। বদলে আপনি প্রদীপ জ্বালাতে পারেন।
• মা লক্ষ্মীকে কখনওই সাদা রঙের ফুল অর্পণ করবেন না। মা লক্ষ্মী বিবাহিত, তাই সবসময় লাল বা গোলাপী রঙের ফুল দিয়ে তার পুজো করতে হবে।
• কোনও ভাবে যেন লক্ষ্মীর প্রসাদ নষ্ট করা বা ফেলা না হয়।
• লক্ষ্মী পুজোয় ভুল করেও কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে নেই।
• লোহার তৈরি কোনও বাসন মা লক্ষ্মীর পুজোয় ব্যবহার করতে নেই। কারণ লোহার বাসন অলক্ষ্মী পুজোয় ব্যবহার করা হয়।
• ধূপ, দীপ অবশ্যই মায়ের ডান দিকে রাখতে হবে।
• কালো বা সাদা বস্ত্রের ওপর মায়ের মূর্তি স্থাপন করা যাবে না।
• পুজোর সময় নিজেকেও লাল বা হলুদ বস্ত্র পরতে হবে।

এইভাবে মা লক্ষ্মীর পুজা করুন। আপনার সংসারের সব অশান্তি দূর হয়ে যাবে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে এবং আপনার ধনলাভ হবে অবশ্যই।

 

 

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.