‘গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর’ গুরুরেব পরম ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নম…..
আমাদের জীবনে গুরুর স্থান সকলের উপরে। গুরুই আমাদের পরম জ্ঞান দান করেন। গুরুকে শ্রদ্ধা ভক্তি ও সম্মান জানানোর জন্য গুরু পূর্ণিমার এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। গুরুদেবই আমাদের মনের অন্ধকার কাটিয়ে আলোর জ্ঞান প্রদান করেন। এই দিনটির গুরুত্ব অসীম। তাই এই দিন কিছু টোটকার মাধ্যমে জীবনে আসতে পারে সাফল্য ও সমৃদ্ধি।
গুরু পূর্ণিমার দিন যা যা করতে হবে—
১) গুরু পূর্ণিমার দিন সকালবেলায় গঙ্গা বা যে কোনও জলাশয়ে ডুব দিয়ে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে গুরুর চরণে হলুদ বা সাদা ফুল, হলুদ বা সাদা বস্ত্র এবং যথাসাধ্য কিছু দক্ষিণা অর্পণ করুন। তবে এই সকল কাজ করার সময় গুরুর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ভক্তি বজায় রাখতে হবে।
২) এই দিন বাড়িতে গীতা পাঠ করা অত্যন্ত শুভ বলে মানা হয়। গীতা পাঠ করুন বা গীতা পাঠ শুনুন।
৩) গুরু পূর্ণিমার দিন সকালে উঠে মা বাবাকে প্রণাম করুন।
৪) এই দিন অবশ্যই নিরামিষ আহার করুন।
৫) যাঁদের গুরুদেব নেই বা যাঁরা গুরু দীক্ষা নেননি, তাঁরা মহেশ্বর বা শ্রীকৃষ্ণকে গুরু হিসেবে পুজো করতে পারেন।
৬) এই দিন যতটুকু সম্ভব গরিব দুঃখীকে দান করুন।
৭) গুরু পুর্নিমার দিন দীক্ষা নেওয়া অত্যন্ত শুভ।
৮) এই দিন উপবাস থেকে সন্ধ্যা বেলায় মা লক্ষ্মী ও নারায়ণের পুজো করলে গৃহের খুবই মঙ্গল সাধিত হয়। মা লক্ষ্মী দেবীকে অবশ্যই একটি নারকেল অর্পন করুন।
৯) গুরু পুর্নিমার দিন সন্তানকে সকাল বেলা শিব মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুষ্পাঞ্জলি সহকারে শিব পুজো করান এবং তিন জন পুরোহিতকে কিছু দান করান সন্তানের হাত দিয়ে এর ফলে অবাধ্য সন্তান অনেকটা বাধ্য হবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
anandabazar