গ্রহণ হয় একেবারেই বৈজ্ঞানিক কারণে। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসে এই গ্রহণকে অনেকেই অশুভ বলে মনে করেন। এই সময় কোনও ধর্মীয় কাজ করা হয় না। ধর্মীয় বিশ্বাস মেনে অনেকেই গ্রহণ চলাকালীন শিব চালিশা, হনুমান চালিশা, মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করেন এবং গ্রহণ শেষ হলে গঙ্গাজলে স্নান করেন। তারপর পুজোপাঠ করে দান করার রীতি রয়েছে।
গ্রহণের সময় কি করবেন না:
১. শাস্ত্রে গ্রহণের সময় এবং গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত দৈবমূর্তি স্পর্শ নিষিদ্ধ।
২. বাড়ির মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া উচিত, যাতে ভগবানের ওপর গ্রহণের কোনও প্রভাব না-পড়ে।
৩. সূতক কাল এবং গ্রহণের সময় অশুভ শক্তির ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়, তাই এ সময় নির্জন স্থান বা শ্মশানে যাওয়া উচিত নয়।
৪. সূতক লাগার পর কোনও শুভ কাজ করবেন না।
৫. গ্রহণের সময় চুল এবং নখ কাটবেন না। এন ছাড়া ভোজন বা জল গ্রহণও অনুচিত।
৬. গ্রহণকালে পার্ব্বণশ্রাদ্ধ না করলে পাপ জন্মায়।
৭. এই গ্রহণ সময়ে যদি পরিবারে কোন শিশুর জন্মগ্রহণ করে তাহলে এ উপলক্ষ্যে দান করা যাবে না।
৮. যদি কোন ব্যক্তি স্বর্গলাভ করেন তাহলে এ উপলক্ষ্যে শ্রাদ্ধ করা যাবে না।
৯. গ্রহণকালে বিশেষ যাত্রা নিষিদ্ধ।
গ্রহণের পরে অবশ্যই যা যা করবেন:
১. গ্রহণের সময় শিব চালিশা, হনুমান চালিশা, মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা উচিত।
২. গ্রহণ শেষ হলে স্নান করে শুদ্ধবস্ত্র পড়ে দান করা উচিত।
৩. গ্রহণ শেষ হলেই অন্য কোনও কাজ করবেন।
৪. গ্রহণ শেষ হলে সারাঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করা উচিত।
৫. কাছাকাছি কোনও মন্দিরে পুজো করে দান করুন।
৬. গ্রহণ শেষ হলে, গোরুকে রুটি খাওয়ানো শুভ।
৭. লক্ষ্মীর কৃপা প্রাপ্তির জন্য গ্রহণের পরে ইন্দ্রের পুজো করার বিধান রয়েছে।
৮. তুলসী চারার পাশে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালাবেন। এতে বাড়ির পরিবেশ প্রাণোজ্জ্বল থাকে।
৯. গ্রহণকালে পার্ব্বণশ্রাদ্ধ করতে হবে।
১০. যে ব্যক্তি গ্রহণকালে যথাবিধানে শ্রাদ্ধ করবে তার ব্রাহ্মণহস্তে পৃথিবীদানের ফল হয়।
১১. এই গ্রহণ সময়ে যদি পরিবারে কোন শিশুর জন্মগ্রহণ করে তাহলে স্নান অবশ্যই কর্তব্য।
১২. যদি কোন ব্যক্তি স্বর্গলাভ করেন তাহলেও স্নানে শুদ্ধ হবে পরিবার।
১৩. এই গ্রহণ সময়ে কোনরূপ দান করলে তা লক্ষগুণ বেশি ফল হয়।
১৪. যদি এই গ্রহণ সময়ে রক্তপাত সৃষ্টি হয় তাহলে দান করা কর্ত্তব্য।
১৫. গ্রহণকালে দীক্ষা গ্রহনকরা যাবে।