জেনে নিন চতুর্থীতে পুজোর শুভ মুহূর্ত ও অমৃতযোগ

গনেশ

গণেশ চতুর্থী উৎসব এই বছর ২২ অগাষ্ট শনিবার উদযাপিত হবে। গণেশ চতুর্থীর দিনটি গণেশকে উত্সর্গ করা হয়। শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিকে ভাদ্র মাসে গণেশ চতুর্থী হিসাবে পালন করা হয়। এই দিনটি গণেশের জন্মদিন হিসাবে পালিত হয়। ভগবান গণেশ হলেন জ্ঞান ও সমৃদ্ধির দেবতা, ভগবান গণেশকে জ্ঞান ও সমৃদ্ধির দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।  ভক্তরা তাঁর পুজো করলে গণেশ অল্পতেই সন্তুষ্ট হন। সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদে জীবন থেকে সরে যায় সমস্ত সমস্যা এবং জীবন সুখে ভরে যায়। ভগবান গণেশ-কে তাই সৌভাগ্যের দেবতা মনে করা হয়।

গণেশ মহোৎসব
গণেশ চতুর্থীকে উৎসব হিসাবে পালন করা হয়। গণেশ চতুর্থীতে গণেশকে বাড়িতে আনা হয়, টানা ১০ দিন পুজোর পরে অর্থাৎ অনন্ত চতুর্দশীর দিন, গণেশকে আড়ম্বরপূর্ণভাবে নিমজ্জিত করা হয়। এই দিনে গণেশ মহোৎসব শেষ হয়। শেষ দিনটি গণেশ বিসজ্জন নামেও পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় যে গণেশের মধ্যাহ্নকালীন সময়ে জন্ম হয়েছিল। এজন্য মধ্য দিবসে গণেশের উপাসনার জন্য সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। পণ্ডিতরা বিশ্বাস করেন যে গণেশ চতুর্থীর দিন মধ্যরাতে গণেশকে প্রতিষ্ঠা ও পুজো করা উচিত।

gonopoti bappa

গণেশ চতুর্থীর শুভ মুহূর্ত
ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে পালন হয় এই উৎসব। ২১ অগাস্ট শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ১১ টা বেজে ২ মিনিট ও বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টা বেজে ৩২ মিনিট থেকে শুরু হবে চতুর্থী। থাকবে ২২ অগাষ্ট শনিবার ভারতীয় সময় সন্ধে ৭ টা বেজে ৫৭ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় সন্ধে ৮ টা বেজে ২৭ মিনিট পর্যন্ত। ২২ অগাস্ট ভারতীয় সময় বেলা ১২ টা ২২ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় বেলা ১১ টা ৫২ মিনিট থেকে ভারতীয় সময় বিকেল ৪টা বেজে ৪৮ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টা বেজে ১৮ মিনিট পর্যন্ত অমৃতযোগ।

গণেশ মূর্তি কখন বাড়িতে আনবেন
গণেশ চতুর্থীতে সকালে স্নানের পরে বাড়িতে গণেশের প্রতিমা বসানো উচিত। এই দিনে চাঁদ দেখতে পাবেন না তাই এই বিষয়ে বিশেষ নিয়ম পালন করতে হবে। পুজোর স্থানে আসন পেতে তার উপর গণেশ মূর্তি স্থাপণ করুন। গণেশ মূর্তি স্থাপণের পর পরিবারের সকল সদস্য মিলে পুজো ও আরতি করুন। ঘরের পরিবেশকে দূষিত করবেন না। দুর্ব্যবহার করবেন না।

সূত্রঃ এশিয়ানেটনিউজ

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.