প্রতিটি মানুষেরই একটি নির্দিষ্ট রাশি থাকে। এই রাশির মাধ্যমেই সেই ব্যক্তির ভাগ্য বা ভালো-মন্দ যাচাই করা যায়। অনেকেই ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই নিজের রাশি যাচাই করেন। আর রাশির মাধ্যমেই জেনে নেন আজকে তার দিনটি কেমন যাবে। তাছাড়া রাশির মাধ্যমে একজনের স্বভাব সম্পর্কেও আন্দাজ করা যায়।
বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের রাশি চক্রে মোট ১২টি রাশি যথা– মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। এই এক একটি রাশির ক্ষমতা এক এক রকম। এই ১২টি রাশির মধ্যে সব থেকে ক্ষমতাবান চারটি রাশি।
জ্যোতিষশাস্ত্রে ‘ন্যাচরাল এলিমেন্ট’ বা প্রাকৃতিক উপাদান বলতে জল, বায়ু, অগ্নি ও পৃথিবীকে বোঝায়। এমন যে চারটি রাশি এই চার উপাদানের প্রতীক, জ্যোতিষ শাস্ত্রে তাদেরকেই সবথেকে শক্তিশালী রাশি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ১২টি রাশির মধ্যে সবথেকে ক্ষমতাশালী রাশি যে চারটি তা হল — মেষ, বৃশ্চিক, কুম্ভ ও মকর।
মেষ— অগ্নির প্রতীক।
এদের অফুরন্ত এনার্জি। কারোর উপর ভরসা করতে পারে না এরা। নিজেই সব কিছু করে ফেলতে চায়। প্রাণশক্তি বেশি থাকায় এদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এরা কর্মতৎপর ও উদ্যমী। লক্ষ্য নির্ধারিত থাকলে কে কী ভাবল সে নিয়ে মাথা ঘামায় না। দ্রুত কর্ম প্রাপ্তিতেই আনন্দ।
বৃশ্চিক— জলের প্রতীক।
যারা এদের বিশ্বাসের মর্যাদা দেয়, তাদের প্রতি এরা অত্যন্ত বিশ্বাসী। কিন্তু, এদের কেউ আঘাত করলে তাদের প্রতি এদের মানসিক ভাবনা একেবারেই নেতিবাচক হয়ে যায়। এরা স্বাধীনতাপ্রিয় ও দূরদর্শী। এরা যে কোনও সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ গতিতে নিতে পারে।
কুম্ভ— বাতাসের প্রতীক।
এরা নিজেদের আবেগ সম্পূর্ণ ভাবে গোপন করতে পারে। বারোটি রাশির মধ্যে এই রাশিই সব থেকে ‘বুদ্ধিমান’ রাশি বলে গণ্য করা হয়। এরা অত্যন্ত একগুঁয়ে স্বভাবের হয়। যেটা মনে করবে সেটা করেই ছাড়বে। নিজের আবেগ গোপন রাখার ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ।
যে কোনও বিষয় হোক না কেন এরা কখনই বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে না। এদের বুদ্ধির জোর হয় প্রবল। যে কোনও কাজ বুদ্ধির দ্বারা জয় করতে চায় আর তাতে সফলও হয়। ভোগ ও ত্যাগ দুই ব্যাপারেই পারদর্শী হয়।
মকর— পৃথিবীর প্রতীক।
অন্যান্য সব রাশির তুলনায় এই রাশির ভাবনা শক্তি সব থেকে বেশি। এদের প্রগতিশীল ভাবনাই এদের এগিয়ে চলার শক্তি। যে কোনও বিষয়ে এই প্রগতিশীল ভাবনাই এদের এগিয়ে নিয়ে যায়। অন্যায় কাজে কখনও লিপ্ত হয় না বরং ভাল কাজে আনন্দ পায়।