দেখে নিন আমাদের হাতের তর্জনীর কিছু গুণাবলী!

আমাদের হাতে পাঁচটি করে আংগুল আছে। প্রতিটি আংগুলের আবার নির্দিষ্ট করে নামও আছে। এই আংগুল গুলো আবার জ্যোতিষ শাস্ত্রের সাথেও সম্পর্কিত। আসুন জেনে নিই আপনার আংগুল গুলোর নাম এবং এ সম্পর্কিত কিছু কার্যাবলী।
প্রথমতঃ আঙ্গুলের নাম ও আঙ্গুলগুলির পরিচয় করে নেওয়া যাক।
ত-তর্জনী, বৃহস্পতির আঙ্গুল
ম- মধ্যমা, শনির আঙ্গুল
অ-অনামিকা, রবির আঙ্গুল
ক-কনিষ্ঠা, বুধের আঙ্গুল
বৃ-বৃদ্ধা বা বুড়ো আঙ্গুল
বৃদ্ধাঙ্গুলি ছাড়া তর্জনী, মধ্যমা, অনামিকা, কনিষ্ঠার প্রত্যেকটির তিনটি করে পর্ব আছে। অর্থাৎ আঙ্গুলগুলি তিনভাগে ভাগ করলে এক এক ভাগকে এক একটি পর্ব বলে।
প্রথম পর্ব- প্রকৃত জ্ঞান ও ধর্মবোধ, আধ্যাত্মিক জগৎ
দ্বিতীয় পর্ব -প্রেম-প্রীতি ও উচ্চাকাঙ্খা, মানসিক জগৎ
তৃতীয় পর্ব- হঠকারিতা, জেদ ও প্রভুত্ব, বৈষয়িক জগৎ

তর্জনী বিচারঃ দেবগুরু বৃহস্পতি এই আঙ্গুলের অধিপতি। এই আঙ্গুল আপনার ওপর কিরূপ প্রভাব বিস্তার করছে দেখে নিনঃ—

১।তর্জনীর প্রথম পর্ব অন্য পর্বের চেয়ে লম্বা হলে আত্মাভিমানী, দাম্ভিক, পন্ডিত ব্যক্তি ও কুসংস্কার গ্রস্ত হয়।

২। এই আঙ্গুল যতটা লম্বা হওয়ার কথা তার থেকে ছোট হলে বিচার-বিবেচনা ও চিন্তার গভীরতা থাকে না। অপরে সহজে তার ওপর প্রভাব বিস্তার করে।

৩। এই আঙ্গুল অন্য সব আঙ্গুলের চেয়ে বড় হলে সে অত্যাচারী, ক্ষমতালিস্পু, দাম্ভিক ও বাস্তবজ্ঞানশূন্য হয়।৪। এই আঙ্গুল স্বাভাবিক হলে আদর্শবান, চরিত্রবাদী, বিদ্বান, ভাবুক ও ব্যক্তিত্বশীল হয়।

৫। এই আঙ্গুল লম্বায় অনামিকার সমান হলে সে চাটুকার ও ধনাকাঙ্খী হয়।

৬। এই আঙ্গুল খুব লম্বা অহঙ্কারী, প্রভুত্বকামী ও ভাল জননেতা হয়।

৭। আঙ্গুলটি বাঁকা হলে মান-যশ-গৌরব যতটা পাওয়ার কথা ততটা পাবে না। নানা বাধা-বিঘ্ন বার বার আসবে। অন্যের কাছে অপদস্থ হতে হবে। আত্নীয়-স্বজন উপকার নিয়ে পরে ভুলে যাবে। স্বীকার করবে না।

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.