আমাদের বাড়ির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল বাথরুম। শৌচালয় ছাড়া যে কোনও বাড়িই অসম্পূর্ণ। বর্তমানে স্থানের অভাবে ঘরের সঙ্গে সংলগ্ন শৌচাগার ও স্নানাগার করার রেওয়াজ এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। অ্যাটাচড বাথ এক কথায় অনেকের কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই সংলগ্ন স্নানাগার চান কিন্তু এই সঙ্গেঁ অনেকেই শৌচাগারটি পৃথক স্থানে রাখার পক্ষে।
আগেকার দিনে মূল বাসভবন থেকে দূরে বিচ্ছিন্ন ভাবে শৌচালয় নির্মাণের প্রথা ছিল। আজকের দিন অধিকাংশ ফ্ল্যাট বাড়িতে তা সম্ভব নয়।
বাস্তু বিশেষেজ্ঞদের মতে বাড়িতে বাথরুমের অবস্থান ঠিকমতো না হলে তা অশুভ শক্তি ডেকে আনতে পারে। বাড়ির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও শৌচাগারের মধ্যে নেগেটিভ এনার্জির উৎস হয়ে ওঠার বিপুল সম্ভাবনা থাকে।
তাই বাড়িতে শৌচালয় বানানোর আগে জেনে নিন কয়েকটি ছোট্ট টিপস।
১. শৌচাগারের ঠিক নিচে বা ওপরে যেন ঠাকুর ঘর বা রান্নাঘর না থাকে, সেটা খেয়াল রাখবেন।
২. কোন মতেই উত্তর- পূর্বে, দক্ষিন – পশ্চিমে ও ব্রহ্মস্থলে যেন শৌচাগার না করা হয়।
৩. শৌচাগারের আর্দশ স্থান হল পশ্চিম দিক ও উত্তর –পশ্চিম কোনে। বিকল্পে দক্ষিন-পূর্বেও শৌচাগার করা যেতে পারে।
৪. শৌচাগারের পশ্চিম, দক্ষিণ অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক করে কমোড বসান।
৫. যদি বেডরুমের সঙ্গে সংযুক্ত বাথরুম হয়, তাহলে ঘরের পশ্চিম দিকে শৌচাগার বানান।
৬. অ্যাটাচড বাথরুমের দরজা কখনও খোলা রাখবেন না। কারণ, বাথরুমের এনার্জি এবং বেডরুমের এনার্জি সম্পূর্ণ উল্টো মেরুর। এই দুই বিপরীত মেরুর সংঘাতে জীবন ছাড়খাড় হয়ে যায়। পরিবারের লোকেদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে।
৭. টয়লেটের মধ্যে কমোড এমন ভাবে বসাতে হবে যাতে কমোড ব্যবহারের সময় সেই ব্যক্তিকে পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে মুখ করে না বসতে হয়।
৮. মেঝে থেকে ১-২ ফুট উঁচুতে শৌচাগার বানান।
৯. টয়লেটের মেঝের ঢাল থাকবে পূর্ব অথবা উত্তর দিকে। যাতে শৌচাগারের ব্যবহৃত জল এই দুই দিক দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।
১০. শৌচাগারের জলের কল যেন উত্তর –পূর্ব, পূর্ব ও উত্তর দিকে থাকে। দক্ষিন – পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিমে জলের কল না থাকাই শ্রেয়।
১১. বাথরুমের দেওয়ালের রং যা খুশি লাগাতেই পারেন, তবে হালকা রং পছন্দ করাই ভালো।
১২. নীল রঙের মধ্যে রয়েছে পজিটিভ এনার্জি ধরে রাখার ক্ষমতা। কাজেই বাথরুমে শুধুমাত্র নীল বালতিই ব্যবহার করুন। সুখ-শান্তি-টাকার বাণ আসবে।
১৩. বাথরুমে একটা ছোট্ট জানালা থাকবে পূর্ব, পশ্চিম অথবা উত্তর দিকের দেওয়ালে।
১৪. শৌচাগার ভিতরেই হোক অথবা বাইরে, সেপটিক ট্যাঙ্ক অথবা সোক পিটের কাছাকাছি তৈরি করতে হবে। এর জন্য দক্ষিন অথবা পশ্চিম দিক বেছে নেওয়া যেতে পারে।
১৫. বাথরুম অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না। বাথরুম অপরিস্কার মানে জীবনও অগোছালো হয়ে পড়বে।