যে কোনও মাঙ্গলিক কাজে সবার প্রথমে গণেশের পুজো ও ধ্যান করতে হয়। কারণ গণপতি বিঘ্ননাশকারী ও মঙ্গলময়। গণেশ মন্ত্র জপ করলে জীবনে কোনও প্রকার অভাব থাকে না। জীবনে পূর্ণ আধ্যাত্মিক সাফল্য আসে।
গণেশ মন্ত্র-
‘ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লীং গ্লীং গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্মৈ বশমানয় ধঃ ধঃ’।
সব রকম বাধা দূর করতে, সর্ব সিদ্ধিতে ও সমস্ত প্রকার পাপ নাশ করতে এই মন্ত্র জপ করতে হয়।
গ্রহপীড়া, জ্বর প্রভৃতিও রোজ মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে দূর হয়ে যায়। সম্পদ বৃদ্ধি ও সুখ শান্তির জন্যও এই মন্ত্র দিনে এক হাজার আট বার জপ করা যেতে পারে।
বিনায়ক মন্ত্র-
‘ওঁ বক্রতুণ্ডায় হুং’।
এই মন্ত্রটিতে সিদ্ধ হতে হলে প্রতি মাসে এক লক্ষ করে ছ’মাসে ছ’লক্ষ বার জপ করলে মন্ত্রসিদ্ধ হওয়া যায়।
এই মন্ত্রটি এক হাজার আট বার শুদ্ধ মনে জপ করে কোনও কাজে গেলে সেটা সিদ্ধ হবে। গণপতির আশীর্বাদ পেতে তার মন্ত্র জপ করে যথাশক্তি উপাচারে গণপতির পূজার্চনা করতে হয়। পরে গণেশের ধ্যান করতে হবে।
গণপতির ধ্যান-
দ্বিচতুর্দশবর্ণভূষিতাঙ্গ, শশিসূর্য্যাগ্নি বিলোচন সুরেশম্।
অহিভূষিতকন্ঠমক্ষসূত্রম, প্রময়েত্তং হৃদয়ে গণেশম্।।
উচ্ছিষ্ট গণপতি পূজা-
লাল চন্দন বা শ্বেত আকন্দের মূলের দ্বারা গণপতির মূর্তি তৈরি করে যথোপচারে পূজা করতে হবে এবং এক লক্ষ বার মন্ত্র জপ করলে সাধকের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ হস্তিপিশাচি লিখে গাং’।
মোহিনী গণেশ পুজো-
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ বক্রুতুন্তৈুকদংষ্ট্রাম্ ক্লীং হ্লীং গং।
গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনং মে বশমানয়ে ওঁ’।
মন্ত্রটি প্রতি দিন দশ হাজার বার জপ করলে সিদ্ধ হয়। এই সিদ্ধ মন্ত্র মোহন কাজে প্রয়োগ করলে কার্য সিদ্ধি হয়।
উপরোক্ত মন্ত্র, ধ্যান ও পুজো যদি সবার সম্ভব না হয়, তা হলে সংক্ষেপে কিছু পুজো প্রতি বৃহস্পতিবার করলে এবং গণেশের বীজমন্ত্র প্রতি দিন একশো আট বার জপ করলে সর্ব বাধা থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
পুজোর মন্ত্রঃ– ‘ওঁ গণেশায় নমঃ’।
গণেশের বীজঃ– ‘গাং’।
আনন্দবাজার