মা কালীর উৎপত্তির পৌরাণিক ব্যাখ্যা

কালিকা পুরাণ থেকে জানা যায় পুরাকালে শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামক দুই রাক্ষস ছিল এবং সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল । পৃথিবীতে চরম অত্যাচার শুরু করেছিলেন দুই রাক্ষস ভাতৃদ্বয়। তাদের আক্রমণে পৃথিবীর সকল মানুষ একপ্রকার চরম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

তারা তাদের আক্রমণের পরিধি শুধু পৃথিবীতেই সীমাবদ্ধ রাখেননি তাঁরা দেবলোকেও আক্রমণ করেছিল। দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে এবং দেবতাদের দেবলোক ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল। এমন সময় দেবতারা ভগবান বিষ্ণু,মহাদেব শিব এবং প্রজাপতি ব্রহ্মার শরণাপন্ন হন ।

তখন তাদের সম্মিলিত উপদেশ যেন সকল দেবতারা মিলে আদ্যশক্তি মহামায়ার উপাসনা করেন । ফলে দেব লোক তাদের হাতছাড়া হয়ে যায় তখন দেবরাজ ইন্দ্র দেব লোক ফিরে পাওয়ার জন্য আদ্যশক্তি মা মহামায়ার তপস্যা করতে থাকেন। তখন দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাদের কাছে আবির্ভূত হন।

মা মহামায়া অবতীর্ণ হলে তিনি দেবতাদের বরাভয় প্রদান করেন এবং অসুর নিধনে তার রুদ্র রূপ ধারণ করেন। দেবীর শরীর কোষ থেকে অন্য এক দেবী সৃষ্টি হয় যা কৌশিকী নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত দেবী কৌশিকী মা মহামায়া দেহ থেকে নিঃসৃত হলে মা মহামায়া কাল বর্ণ ধারণ করে যা দেবী কালীর আদিরূপ বলে ধরা হয়।

মা কালী কেন আবির্ভূত হলেনঃ

মা কালী বা মা করুণাময়ী, তার কাছে কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। যিনি আকুল হয়ে ডাকবেন, তাকে রক্ষা করতে মা বার বার আবির্ভূত হবেন। তিনি দেবতা, রাক্ষস, দৈত্য বা মানুষ যিনিই হন।

মা কালীকে অনেকেই অনেক কারণে ডেকে থাকেন, আর মা তার ভক্তদের দশ হাতে রক্ষা করেন। মাকে কেউ ডাকে আর্থিক উন্নতির জন্য, আবার কেউ ডাকেন সন্তানের জন্য, রোগ, শত্রু ও এই রকম নানা কারণে ভক্তরা মাকে ডেকে থাকেন।

সোর্সঃ সংগৃহিত

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.