ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি শ্রী রাধাষ্টমী হিসাবে পালন করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে, শ্রী রাধিকা কৃষ্ণের জন্মদিনের পনের দিন পরে শুক্লপক্ষের অষ্টমীতে অভিজিৎ মুহুর্তের রাজা বৃষানুর যজ্ঞ ভূমি থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
রাজা শ্রীবৃষভানু এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীকীর্তি তাঁদের কন্যা হিসাবে রাধা-কে বড় করেছিলেন। রাধা এই তিনটি কল্প, ব্রহ্মকালপ, ভারহাকল্প এবং পদ্মকাল্পে কৃষ্ণের সর্বোচ্চ শক্তি হিসাবে বর্ণিত হয়েছে।
এ কারণেই বেদ ও পুরাণ প্রভৃতি তাদের ‘কৃষ্ণবল্লভা’, ‘কৃষ্ণাত্মা’ কৃষ্ণপ্রিয়া ‘বলে অভিহিত করা হয়েছে। পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে এমন একটি বিবরণ পাওয়া যায় যে, কৃষ্ণ রূপে অবতার নেওয়ার আগে ভগবান শ্রীবিষ্ণু তাঁর ভক্তদেরও পৃথিবীতে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় বিষ্ণু প্রিয়া লক্ষ্মীও রাধা রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন।
রাধাষ্টমী উপাসনা পদ্ধতি-
সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরুন।
ঠাকুরের স্থানে লাল বা হলুদ কাপড় পেতে তার উপরে, শ্রী কৃষ্ণ এবং রাধার মূর্তিটি স্থাপন করুন। পাশাপাশি পুজোর ঘটও স্থাপন করুন।
পঞ্চামৃত দিয়ে রাধা ও কৃষ্ণের স্নান করান। এরপর দুজনকেই নতুন বস্ত্র পরিয়ে সাজিয়ে দিন। আপনার নিয়ম মেনে পুজো সারুন, ফুল-ফল নৈবেদ্য সাজিয়ে দিন, প্রয়োজনে ভোগও দিতে পারেন। এরপর রাধা কৃষ্ণের মন্ত্রগুলি জপ করুন, ও রাধা কৃষ্ণের আরতি করুন।
রাধা অষ্টমীর তাৎপর্য-
রাধা-কৃষ্ণ ভক্তদের জন্য রাধা অষ্টমীর বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে, যিনি এই ব্রত রাখেন তাঁর কোনওদিন অর্থের অভাব হয় না। শ্রী কৃষ্ণ ও রাধা আশীর্বাদ সর্বদা তাঁধের উপর বজায় থাকে।
এই কারণেই ভক্তরা প্রথমে তাঁর আরাধ্য কৃষ্ণের পুজো করার আগে, রাধা রানীর পুজো করেন। বিশ্বাস করা হয় রাধা অষ্টমীর উপবাস করলে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়।
এশিয়ানেটনিউজ