যে কারণে গণেশ কে সিঁদুর পড়ানো হয়!

মূলত সমৃদ্ধির দেবতা হিসেবে গণেশকে পুজো করেন হিন্দুরা। হিন্দু পরিবারের ঠাকুরঘরে থাকে গণেশ মূর্তি। বিশেষত ব্যবসার ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য গণেশ পুজো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অর্থাৎ দোকান-পাটেও রাখা হয় গণেশ মূর্তি। তবে কীসে সন্তুষ্ট হন এই দেবতা? জানেন না অনেকেই।

মূলত গণেশের পুজোয় মোদক দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। এই দেবতার সামনে রাখা হয় থালা ভর্তি মোদক। কিন্তু জানেন কি গণেশকে সিঁদুর পরানো হলেও তিনি সন্তুষ্ট হন? তাই হনুমানজির মত গণেশকেও পরানো হয় সিঁদুর।

বিশেষত বুধবার গনেশকে সিঁদুর পরালে অনেক কষ্ট লঘু হয়।জীবন থেকে অনেক সমস্যা দূর হয় বলেও মনে করা হয়।

gonopoti bappa

ফাল্গুন মাসে হোলির ঠিক পরের দিন দেবতা গণেশকে সিঁদুর পরানো উচিৎ। তাহলে সবথেকে ভাল ফল পাওয়া যায়। এই কাজ করলে শারীরিক কষ্ট কমে যায়। শরীরে কোনও যন্ত্রণা থাকলেও তার উপশম হয়।

সিঁদুর পরানোর কিছু রীতি আছে। স্নানের পর হলুদ কাপড় পরে সিঁদুর পরাতে হবে গণেশকে। দেওয়া হবে আবীরও। এরপর পড়তে হবে গণেশের বিশেষ মন্ত্র- ‘সিঁদুর শোভতে রক্ত সৌভাগ্যং সুখবর্ধনম। শুভরং কামদং চৈব সিঁদুর প্রতিগৃহ্যতাম।

সিঁদুরের সঙ্গে ঘি বা জেসমিন তেল মেশাতে হবে। একটি রূপোর বা সোনার কয়েন দিয়ে পরাতে হবে সেই সিঁদুর। এতে কেরিয়ারেও হবে উন্নতি।

kolkata24x7

mangalparinay

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.