শাস্ত্র মতে, সৃষ্টির পূর্বে একমাত্র শিবই বর্তমান ছিলেন। তিনিই লীলাচ্ছলে ব্রহ্মারূপে সৃষ্টি করেন, বিষ্ণুরূপ ধারণ করে পালন করেন আবার রুদ্ররূপ ধারন করে সংহার করেন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-হর তারই সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের তিনটি রূপভেদ মাত্র।
তাই এই তিন রূপের মধ্যে সত্বার কোন পার্থক্য নেই। তবু সনাতন রূপ পরম শিবরূপই মূলস্বরূপ। তাই ভাগ্য ফেরাতে শিব চতুর্দশীতে পালন করুন এই রীতি, রাশি অনুযায়ী জেনে নিন কোন নিয়মে দূর হবে সমস্যা।
মেষ– শিবরাত্রির দিনে কাঁচা দুধ এবং দই দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করিয়ে ধুতরো ফুল অর্পণ করুন। সেই সঙ্গে কর্পূর দিয়ে আরতি করুন, সমস্ত বাধা ও বিপত্তি কেটে যাবে।
বৃষ– শিবরাত্রির আগের ও পরের দিন পারন পালন করুন। শিবরাত্রিতে জুঁই ফুলের আতর ছড়িয়ে ভোগ নিবেদন করুন এবং আরতি করুন।
মিথুন– স্ফটিকের শিবলিঙ্গকে লাল আবির, সিঁদুর, চন্দন, আতর দিয়ে পুজো করুন। নীলকন্ঠ ফুল নিবেদন করুন এবং মিষ্টি ভোগ অর্পণ করলেই সকল সমস্যা দূর হবে।
কর্কট– অষ্টগন্ধ চন্দন দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন। বাতাসা ও নকুলদানা দিয়ে ভোগ নিবেদন করে আরতি করুন।
সিংহ– ফল এবং গাওয়া ঘি দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করুন সেই সঙ্গে মিষ্টি ভোগ নিবেদন করুন।
কন্যা– ধুতরো, ভাং, আকন্দ, বেলপাতা দিয়ে শিবলিঙ্গে নিবেদন করুন। ৩টে গোটা ফল দিয়ে পুজো করুন।
তুলা– ফুলের পাঁপড়ি ভেজানো জল এবং ডাবের জল দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করান। বেলপাতা, নীলকন্ঠ, আতপ চাল এবং চন্দন নিবেদন করে আরতি করুন।
বৃশ্চিক– খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করান। এরপর মধু, ঘি দিয়ে স্নান করানোর পরে পুনরায় জল দিয়ে স্নান করিয়ে পুজো এবং আরতি করুন।
ধনু– মধু ও গঙ্গাজল দিয়ে শুকনো বাদাম দিয়ে ভোগ দিন শিবলিঙ্গ স্নান করান। বেল পাতা, গোলাপ ইত্যাদি দিয়ে পুজো করে আরতি করুন।
মকর– শিবলিঙ্গকে শষ্য অথবা গম নিবেদন করে পুজো করুন। এর পরে ওই শষ্য দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করুন। তিন প্রহরে শিবলিঙ্গে জল ঢালুন। সকল বাধা দূর হবে।
কুম্ভ– প্রতি প্রহরে একে একে গঙ্গাজল, ঘি, মধু ও দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গ স্নান করান। এরপর সাদা এবং কালো তিল নিবেদন করুন। ধুতরো ফুল দিয়ে পুজো করুন।
মীন– নিঁখুত বেলপাতা দিয়ে পুজো করুন। নারকেলের জল শিবলিঙ্গ ঢালুন। নির্জলা উপবাস থেকে সন্ধ্যেবেলায় পুজো করুন, সকল বাধা বিপত্তি দূর হবে সহজেই।