বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই গ্রহণের সময় বেশ কিছু জিনিস করা থেকে বিরত থাকা যেতে পারে। অন্তত যারা জ্যোতিষ নিয়ে চর্চা করেন তারা এ ধরনের বিভিন্ন নিয়মের কথা বলে থাকেন। আধুনিক বিজ্ঞানে অনেক সময় জ্যোতিষের নানা বিধানের অর্থ খুঁজে বের করা না গেলেও জ্যোতিষ থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদের চর্চা করা বহু মানুষ বিশ্বাস করেন গ্রহণের সময় খাবার থেকে দূরে থাকাই ভালো।
১. গ্রহণের সময় রান্না না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যে মানুষ অসুস্থ, ক্লান্ত অথবা বৃদ্ধ – তাদের ক্ষেত্রে একান্তই সম্ভব না হলে জল, ডাবের জল অথবা এই ধরনের কোনও ফ্লুইড দেওয়া যেতে পারে। তবে ভারী খাবার না দিতেই বলা হয়।
২. ভারতে এই চর্চা বহুদিন ধরে চলে আসছে যে গ্রহণের সময় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ এই সময় অতিবেগুনি রশ্মির কারণে মানুষের শরীরে নানা অসুবিধা তৈরি হতে পারে।
৩. গ্রহণের সময় খালি চোখে আকাশের দিকে তাকাবেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই সানগ্লাস, প্রোজেক্টর, টেলিস্কোপের ব্যবহার করুন। তা না করলে দৃষ্টিশক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে।
৪. গ্রহণের সময় অনেকেই মন্দিরে পূজা-অর্চনা করেন না। অথবা বাড়িতেও পূজা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
৫. গ্রহণের সময় শাড়িতে পিন বা সাধারণ ভাবে সেফটিপিন, কোনও গয়না পরতে বারণ করা হয়। এতে নাকি বিপদ হতে পারে। যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায় নি।
৬. গ্রহণের সময় তুলসী গাছ স্পর্শ করবেন না। গ্রহণ চলাকালীন চুল দাড়ি কাটবেন না।
৭. গ্রহণের সময় ক্ষতিকারক রশ্মি বিকিরণ হয় তাই বাইরে না বেড়নোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
৮. সূতক কাল এবং গ্রহণের সময় অশুভ শক্তির ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়, তাই এ সময় নির্জন স্থান বা শ্মশানে যাওয়া উচিত নয়।
৯. এছাড়া গ্রহণ চলাকালীন পরিবেশে ক্ষতিকারক কিছু তরঙ্গ ও জীবানু সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার প্রভাবে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১০. গ্রহণের সময়ে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়াও শ্রাস্ত্র মতে ভুল কাজ। কারণ, শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, গ্রহণের সময়ে মিলনের ফলে যদি সন্তান পৃথিবীতে আসে, তার চারিত্রিক দোষ থাকে।
১১. গ্রহণের সময়ে রান্নার বিষয়েও বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শাস্ত্র মতে, গ্রহণের আগে রান্না করে রাখা পদ গ্রহণের পরে খাওয়া উচিত নয়।
১২. সূর্য গ্রহণের সময় কোনও পুজো বা মাঙ্গলিক কাজ করা উচিত নয়, এতে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।