গুরু পূর্ণিমায় যে কাজগুলো করে জীবন সুখসমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে!

মানুষের জীবনে জন্মের পর থেকে তিনবার সে গুরুর আশ্রয়ে আশ্রিত হয়। জন্মের পর থেকে অর্থাৎ যখন সে ভূমিষ্ঠ হয় তারপর থেকেই পিতা-মাতা নামক গুরুর তাকে কোলে পিঠে করে বড় করে ।তারপর যখন সে একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠে এবং পুঁথিগত বিদ্যার জন্য ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় তখনই তাদের জীবনে আসে শিক্ষক নামে এক গুরু। যার ছায়া থেকে প্রত্যেকটা মানুষ তার জীবনের শিক্ষা লাভ করে শিক্ষিত হতে থাকে। তার পরবর্তী সময় অর্থাৎ যৌবনকলে প্রত্যেকটা মানুষই তার ইষ্ট দেবতার শরণাপন্ন হয়। জীবনে যদি গুরুদেবের আশীর্বাদ না থাকে তাহলে কোন মানুষ এই সাফল্যের পথ ধরে রাখতে পারে না।

হিন্দু বিশ্বাস মতে এই দিন মহাভারতের রচয়িতা মহর্ষি ব্যাসদেব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যার ফলে এই দিনটিকে কোথাও ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। তাই এইদিনটি খুব শুভ বলে মানা হয়। শাস্ত্রমতে গুরুপূর্ণিমার দিন সহজ কিছু কাজের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরানো যেতে পারে। তা ছাড়া এই দিন এই কাজগুলো জীবনে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে।

গুরু পূর্ণিমায় যা করলে ভাগ্য সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে:

• গুরু পূর্ণিমার দিন সারা দিন উপবাস করে সন্ধ্যায় মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে অর্থ কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাড়ির প্রধান দরজায় মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন আঁকুন এবং যদি বাড়িতে মা লক্ষ্মীর পদযুগল থাকে, তা হলে তা উত্তর দিকে রেখে তাঁর সামনে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বাললে দারিদ্র দূর হয় এবং অর্থ ভাগ্য ভাল হয়।

• গুরু পূর্ণিমার দিন মা লক্ষ্মীর কাছে নারকেলের তৈরি জিনিস যেমন নাড়ু বা লাড্ডু ইত্যাদি অর্পণ করুন। এতে মা লক্ষ্মী খুব প্রসন্ন হন। নারকেল মা লক্ষ্মীর খুব প্রিয়। তাই নারকেলকে লক্ষ্মীদেবীর প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই গুরুপূর্ণিমার দিন নারকেল দিয়ে অবশ্যই লক্ষ্মীদেবীর পুজো করুন।

• চন্দ্রদেবকেই প্রকাশ্য দেবতা বলে মনে করতেন আর্যরা। তাই এই দিন চন্দ্রদেবের উপাসনা করলে চন্দ্রের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গুরু পূর্ণিমারদিন সন্ধ্যায় ধূপ-দীপ সহকারে চন্দ্রদেবকে জল অর্পণ করুন এবং চন্দ্রদেবের উদ্দেশ্যে খোলা জায়গায় যে কোনও সাদা রঙের প্রসাদ নিবেদন করুন।

• ব্যবসায় উন্নতি আনতে একটি নারকেল লাল কাপড়ে মুড়ে তাতে আটা ও সিঁদুর লাগিয়ে তা চন্দ্রদেবকে অর্পণ করুন। এতে ব্যবসায় উন্নতি হবে।

• এই দিন বেলগাছকে সুগন্ধী ধূপ ও ফুল দিয়ে পুজো করলে আর্থিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হতে দেখা যায়। এই পুজো পুরোহিত দিয়ে করাতে হবে।

• এই দিন অন্ন, বস্ত্র বা সাধ্যমতো যা কিছু গরিবদের দান করুন।

• সম্ভব হলে এই দিন গঙ্গাস্নান করুন। এই দিন গঙ্গাস্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

• সত্যনারায়ণ পুজোর আয়োজন করাও খুব শুভ। বাড়ি থেকে কুপ্রভাব দূরে সরে যায়।

• গুরু পূর্ণিমার দিন পশুপাখিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

• এই দিন একটি সাদা কাপড়ের ওপর মুগ ডাল, ছোলার ডাল, আটা, কালো তিল ও কলাই রেখে তা নবগ্রহের যন্ত্রের কাছে রাখুন এবং মনের কামনা জানান। এতে নানাবিধ গ্রহের দোষ খণ্ডন হয়। নবগ্রহ যন্ত্রের ওপর তিলক কাটতে ভুলবেন না।

সংগৃহিত

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.