নারায়ণের পত্নী “মা লক্ষী” দেবী। তিনি ধন সম্পদ ও ঐশ্বর্যের দেবী। বৃহস্পতিবার মা লক্ষ্মীর পূজা ও আরাধনা করা হয়। হিন্দু মহিলারা এই দিনে উপবাস রেখে সংসারের মঙ্গল কামনায় ও ধনসম্পদ বৃদ্ধির আশায় মা লক্ষ্মী বা অন্নপূর্ণা দেবীর পূজা করে থাকেন। পূজায় মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হলে তাদের ধন-সম্পদ উপচে পড়ে। তাদের আর কোন কিছুর অভাব হয় না। মা লক্ষ্মীর পূজা করতে গেলে অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। তার মধ্যে একটি অন্যতম নিয়ম হলো লক্ষী পূজায় ঘন্টা বাজানো যায় না। কেন ঘন্টা বাজানো যায় না চলুন তা জেনে নেই।
বৃহস্পতিবারকে দেবী লক্ষীর বার হিসেবে ধরা হয়। এই দিনে অনেক গৃহস্থ বাড়ির মহিলারা উপবাস রেখে সকালে স্নান সেরে মা লক্ষ্মীর পূজা শেষ করে দিনের শুরু করেন। পায়ে আলতা পরে, সন্ধ্যায় পাঁচালী পড়ে, ভক্তি ভরে মা লক্ষ্মীর পূজা করে থাকেন অনেকেই।
হিন্দু পুরাণ মতে, ঘন্টাকর্ণ নামে এক দেবতা পূজনীয় লক্ষী দেবীকে দেখে অশালীন আচরণ করেছিলেন। যে দেবীকে পুরো দেবলোক পূজা করেন। সেই দেবীকেই কিনা অপমান করেছিলেন ঘন্টাকর্ণ। এই ঘটনায় দেবী লক্ষী ঘন্টাকর্ণের উপর খুব ক্রুব্ধ হন। সেই থেকেই মা লক্ষ্মীর পূজায় কোন ব্যক্তি ঘন্টা বাজালে, তার উপর খুব ক্ষিপ্ত হন পদ্মাসনা দেবী লক্ষী।
লোকমত অনুসারে, সেই থেকে অন্যান্য সব পূজায় ঘন্টা বাজালেও, লক্ষী পূজাতে ঘন্টা বাজানো নিষিদ্ধ। দেবীর রোষানলে পড়তে না চাইলে, কখনই লক্ষ্মী পূজাতে ঘন্টা বাজানো উচিত নয়।
আরো একটি কারণ হতে পারে তা হলঃ
লক্ষ্মী পূজায় ঘন্টা না বাজানোর সাথে সাথে লোহা বা স্টিলের কোনো কিছু ব্যবহার করাও নিষেধ। লোহা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে শাস্ত্রে বলা আছে, লোহা দিয়ে নাকি অলক্ষ্মীর পূজা করা হয়, তাই লোহা ব্যবহারে লক্ষ্মীর পূজা হয় না। পূজায় যে ঘন্টা বাজানো হয়, সেই ঘন্টাও এক ধরণের লৌহজাত পদার্থ থেকেই তৈরি, এই দৃষ্টিকোন থেকে লক্ষ্মীপূজায় ঘন্টা না ব্যবহারের একটা কারণ খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু এই বিশ্বাসটা পুরোটাই আধ্যাত্মিক, এই আধ্যাত্মিক বিশ্বাস যতক্ষণ না কর্মে প্রকাশ পাচ্ছে, ততক্ষণ এটা কারো বাস্তব জীবনে কোনো দিন প্রভাব ফেলে না আর ফেলবেও না। তাই, লক্ষ্মী পূজায় এই লোহা ও স্টিলের জিনিসপত্র বা ঘন্টা বাজাতে না বলার বাস্তব কারণ।
আরো আপডেট পেতে
Bangla Panjika 2023 Paji 1430 Download করুন
For Bangla Calendar, Bangla Panjika, Bengali Calendar, Horoscope download Bangla Panjika 2023 Paji 1430