শ্রীশ্রী অনুকুলচন্দ্র ঠাকুরের কী কী অলৌকিক মহিমা রয়েছে এবং তিনি কেন বিখ্যাত? চলুন জেনে নেই!

শ্রী অনুকূল ঠাকুরের মহিমা ও কেন বিখ্যাতঃ
শ্রীশ্রী মা কালী ঠাকুরের বোঝা বহনঃ বাটীর ভৃত্য কোন দূরবর্ত্তী স্থান হইতে কতকগুলি নারিকেল মস্তকে বহন করিয়া আনিতেছিল। পথি মধ্যে তাহার বড় কষ্ট হইতেছে দেখিয়া বালক নিজসম্তকে নারিকেলের বোঝা বহন করিতে লাগিলেন। কিছুদূর গমন করতঃ ক্লান্ত হইয়া বলিলেন- “আর তো পারি না। এমন সময় তিনি দেখিলেন, শ্রী শ্রী কালীমাতা তাঁহার বোঝা মস্তক উচ্চ করিয়া বহন করতঃ লইয়া যাইতেন।

ছিপে মাছ ধরতে গিয়ে বিপদঃ
অন্যান্য বালক দিগের দেখাদেখি ও কাহারও অনুরোধে একদিন বালক পদ্মানদীতে ছিপে মৎস ধরিতে গিয়াছিলেন। তাঁহার ছিপে একটা বড় মাছ ধরিল। মাছ ধরা পড়িয়া কষ্ট পাইল বা মরিয়া যাইবে মনে করিয়া তিনি কাঁদিয়া আকুল হইলেন। মাছ ছাড়াইয়া বাঁচাইয়া দিবার জন্য উপস্থিত লোকদিগকে সকাতরে অনুরোধ করিতে লাগিলেন। তখন তাহারা মাছটি ছাড়াইয়া জলে ছাড়িয়া দিলে শান্ত হইলেন। আর কখনও সে-কার্য্য করেন নাই।

 

অপরিচিত ব্যক্তি শ্রীশ্রীঠাকুরকে স্বপ্নে প্রাপ্তঃ
অনেক স্থান হইতে অনেক ভদ্রাভদ্র পুরুষ-রমণী যাঁহারা কখনও তাঁহাকে দর্শন করেন নাই বা তাঁহার নাম-ধাম অথবা তাঁহার বিষয় কিছুই পূর্ব্বে শ্রবণ করেন নাই তাঁহারাও স্বপ্নযোগে শ্রীশ্রীঠাকুরকে দর্শন এবং তাঁহার প্রচারিত সাধন-প্রণালীর দীক্ষাপ্রাপ্ত হইয়াছেন এবং ইনিই তাঁহাদের একমাত্র আরাধ্য পরমপুরুষ বলিয়া জানিতে পারিয়াছেন। এইরূপ স্বপ্নদর্শনে অনেকে আকুল প্রাণে ছুটিয়া আসিয়া তাঁহার চরণে লুটিয়া পড়িতেছেন।

 

আমিষ ও নিরামিষ সম্পর্কে শ্রীশ্রী ঠাকুরের উক্তিঃ
একদিন বলিলেন- “পূর্ব্বে মাছও খেয়েছি কিন্তু তাতে সাধনার ফল ভাল হয় নাই। তাই লোককে মাছ-মাংস খেতে নিষেধ করি। মাছ-মাংস খেলে ধ্যানের জ্যোতিঃ স্পষ্ট দেখা যায় না, ধোঁয়া দেখা যায়। স্মৃতিশক্তির বিঘ্ন হয়। স্ফূর্ত্তির হানি হয়। আমি দেখতাম-আমিষ খেলে আমার স্মৃতিশক্তি কম হত। আমিষ খাওয়ার ফলে স্বপ্নে ও ধ্যানে দুষ্ট বিষয় ঠিক-ঠিক মনে থাকে না। আমিষে রিপুর উত্তেজনা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। স্তত্ত্বিক-আহারে মানুষ দীর্ঘায়ু হয়। সাত্ত্বিক-আহারে মানুষ দীর্ঘায়ু হয়।

 

সত্যনামে রোগযন্ত্রণার উপশমঃ
হিমাইতপুরের স্বর্গত দেবীদাস চৌধুরী-মহাশয়ের পুত্র শ্রীযুক্ত হেমচন্দ্র চৌধুরী মহাশয় শয্যাগত পীড়িত। রোগযন্ত্রণায় ছটফট করিতেছেন। আমি তাঁহাকে দেখিতে গেলাম। তিনি বলিলেন- “দাদা, বড় যন্ত্রণা, কিন্তু বড় আশ্চর্য্য কথা, যখনই আমি ঠাকুরের প্রচারিত নাম করি তখনই আমার রোগ যন্ত্রণার কিঞ্চিত উমশম বোধ হয়; আমি একটু শান্তি পাই। কিন্তু আমি পূর্ব্ব থেকে যে সমস্ত নাম করে থাকি, তাতে কোন উপকার পাই না কেন, কিছুই বুঝতে পারি না।
আবার, সে-সকল নাম ছাড়তেও প্রাণ চায় না, তাই সেই নাম করি, কিন্তু তাতে রোগযন্ত্রণার কোন উপশম হয় না, তখন পরীক্ষা করতে গিয়ে ঠাকুরের নাম (সত্যনাম) করি, অমনি যন্ত্রণার কিছু উপশম হয়, কিছু শান্তি বোধ হয়। এইরূপ আজ তিনদিন অনেকবার পরীক্ষা করে বুঝলাম-ঠাকুরের নামই সর্ব্বশ্রেষ্ট শক্তিমান নাম বটে। প্রথম মনে করেছিলাম, আমার মা ঐ সত্যনাম করেন তাই বোধহয় আমার মনের এই অবস্থা, কিন্তু বাস্তবিক পরীক্ষা করে দেখলাম তা নয়, ঐ নামের খুব শক্তি বটে। আমি তাঁহার মন পরীক্ষা করিবার জন্য বলিলাম- “যদি এ কথা সত্য হয় তবে এই ঘটনা সত্য বলে নাম-স্বক্ষর করে দিন। তিনি অম্লানবদনে সন্তোষ সহকারে তাহাই করিলেন।

 

সত্যনাম অবজ্ঞার প্রতিফলঃ
উক্ত বদরগজ্ঞে একটি রমণী সেই মায়ের নিকট এই সত্যনাম গ্রহণ করেন। একদিন তিনি নির্জ্জনে বসিয়া নাম করিতেছেন, এমন সময় তাঁহার স্বামী বিদ্রপচ্ছলে তাঁহার পৃষ্টদেশে স্বীয় পদস্পর্শ করিলেন। তখন হঠাৎ কোথা হইতে বহুসংখ্যক মৌমাছি আসিয়া সেই ভদ্রলোকের মুখে দংশন করতঃ অস্থির করিয়া তুলিল।অবশেষে তিনি স্ত্রীর নিকটে ক্ষমা চাহিলে মধুমক্ষিকাগণ তাঁহাকে পরিত্যাগ করিল।

 

সত্যনামে মুমূর্ষুর জীবনপ্রাপ্তিঃ
উক্ত শ্রীশবাবুর( শ্রীশচন্দ্র নন্দী) স্ত্রীর উদরাভ্যস্তরে টিউমার হইয়াছিল। ডাক্তারগণ বলিলেন রোগ দুরারোগ্য। একদিন আকস্মিক ঘটনাবশতঃ তাঁহার ছোট কন্যার পদাঘাত লাগিয়া সেই টিউমার পেটের মধ্যেই ফাটিয়া গেল। তখন আরও ভয়ঙ্কর কাণ্ড হইয়া পড়িল। তাহাতে রোগীর পেরিটোনাইটিস্ নামক সাংঘাতিক ব্যাধি উপস্থিত হইল। তিনি মৃতপ্রায় হইয়া পড়িলেন। বড়-বড় ডাক্তার বলিলেন- “বাঁচিবার কোন আশা নাই।” সেই রাত্রেই মৃত্যু নিশ্চই স্থির হইল। শ্রীবাবুর স্ত্রীর জীবন লাভের উদ্দেশ্যে অনন্যপায় হইয়া শ্রীশ্রীঠাকুরের নিকট প্রার্থনা-সহকারে সাধ্যানুসারে সত্যনাম করিতে লাগিলেন্ কি অদ্ভুত ব্যাপার ! সেই রাত্রি হইতেই রোগী সুস্থ হইতে আরম্ভ করিয়া অত্যল্পকাল মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হইলেন।

 

সত্যনামে মরা মানুষ কিভাবে বেঁচে উঠলঃ

রাতুলপাড়ার শ্রীযুক্ত শ্রীকান্ত সরকার-মহাশয় ভয়ানক পীড়িতাবস্থায় সপরিবারে বাংলাদেশের কুষ্টিয়াতে রহিয়াছেন। গুরু ভ্রাতাগণ প্রাণেপণে যত্ন, শুশ্রূষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়াছেন। বড়-বড় এম-বি, এল-এম-এস ডাক্তারগণ রোগীর জীবনের কোন আশা নাই বলিয়া জবাব দিয়াছেন। হোমিওপ্যাথিক মতে চিকিৎসা করিয়া আমিও কৃতকার্য্য হইতে পারিলাম না। রাত্রে মোক্তারবাবু বীরেন্দ্রনাথ রায় ও আমার কম্পাউণ্ডার শ্রীমান্ উপেন্দ্রনাথ দে রোগীর শুশ্রূষা ও প্রহরায় নিযুক্ত হইলেন। তাঁহারা খুব নাম করিতেছেন ( এই সত্যনাম )। নিশীথকালে শ্রীকান্তের প্রাণপক্ষী দেহপিঞ্জর পরিত্যাগ করিল। এত রাত্রে প্রকাশ করা উচিত নয় বিবেচনায় তাঁহারা চুক করিয়া রহিলেন। পরে তাঁহারা পরামর্শ করিলেন যে, এই সত্যনামে অনেক মুমূর্ষু এবং মৃতব্যক্তি বাঁচিয়া গিয়াছে। ইহাকে নাম দ্বারা চেষ্ঠা করিয়া দেখিলে হয়। এই বলিয়া তাঁহারা প্রাণপণে নাম করিতে লাগিলেন এবং তাঁহার মুখে একটু চরণামৃত ঢালিয়া দিলেন। রজনী প্রভাত হইবার সঙ্গে-সঙ্গে শ্রীকান্ত আবার বাঁচিয়া উঠিলেন। আনন্দের আর সীমা নাই। সকলেরই যেন স্বপ্নবৎ বোধ হইতে লাগিল।

 

ভাল খাদ্য দেখে কাঁদলেন ঠাকুরঃ
কখন-কখন তাঁহাকে ভোজন করাইবার জন্য সুন্দর আসন পাতিয়া দেওয়া হইলে এবং তাঁহার সম্মুখে নানাপ্রকার চর্ব্ব-চূষ্য-লেহ্য-পেয় সামগ্রী সুসজ্জিত করিয়া দেওয়া হইলে তিনি সেই সমস্ত জিনিস দেখিয়া বিষণ্ন হইয়া অশ্রুপাত করতঃ বলিয়াছেন- ‘হায়! হায়! তোমরা আমাকে ঠাকুর করেছো, আমি ছিলাম একটি বামুনের ছেলে, পরে হলেম ডাক্তারবাবু, আবার এখন তোমরা আমাকে বল ঠাকুর, আর আমার জন্য এত বহুমূল্য সুন্দর খাদ্যদ্রব্য থরে-থরে সাজিয়ে দিয়েছো। তোমাদের কত গরীব ভাই কত স্থানে একমুষ্টি চাউলের অভাবে কত কষ্টপাচ্ছে তা’ তো তোমরা দেখছ না।

 

সত্যনাম গ্রহণে অশরীরী আদেশঃ
কলিকাতার ৭নং দীনবন্ধু লেন-এর শ্রীযুক্ত বাবু আশুতোষ ঘোষ, বি-এ, বি-এল, মহাশয় কুচবিহারের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট (নায়েব আহেলকার)। তিনি বিখ্যাত মহাপুরুষ স্বর্গত ঠাকুরদাস বাবাজীর শিষ্য। নানকপন্থী। শ্রীশ্রীঠাকুরকে দর্শন করতঃ এবং এই সত্যনাম সাধন-প্রণালী অবগত হইয়া বিশেষ সন্তোষলাভ করিয়াছেন। তিনি পুনরায় এই সত্যনামে দীক্ষিত হইবেন স্থির করিয়াছেন। কিন্তু মনে সময়ে-সময়ে একটু সন্দেহ আসিতেছে। গত ৬ই অগ্রহায়ণ রাত্রে তাঁহার নিদ্রা ভঙ্গ হইল।তখন তাঁহার অর্দ্ধনিদ্রা অর্দ্ধজাগরণবৎ অবস্থা তিনি স্পষ্ট শ্রবণ করিলেন-তাঁহার স্বর্গীয় গুরুদেব বলিতেছেন- “আমার মন্ত্র ফিরিয়ে দিলে আক্ষেপ নাই যে-পথ অবলম্বন করতে যাচ্ছ-তা বেশ। তাতেই মঙ্গল হবে। এই ঘটনার পরেই তিনি শ্রীশ্রীঠাকুরের এই সত্যনামেই দীক্ষিত হইয়াছিলেন।

 

কুষ্টিয়ার এক গ্রামে এক বাড়ীতে ভূতের উপদ্রবঃ

ঘরে তালাচাবি বন্ধ করিয়া রাখিলে আপনা-আপনি সে তালাচাবি খুলিয়া যায়। নানারূপ চেষ্টা করিয়াও তাহার কোন প্রতিকার হইল না। রাম-নামে ভূত পলায়ন করে, এই ধারণায় সেই ঘরের দরজায় রাম-নাম লিখিয়া দেওয়া হইল। তাহাতে কোন ফল হইল না। পরে হরি-নাম, কৃষ্ঞ-নাম, কালী-নাম ও দুর্গা-নাম লিখিয়া দেওয়া হইল। কোন ফল হইল না। অবশেষে শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রদত্ত সত্যনাম কাগজে লিখিয়া সেই দরজায় আঁটিয়া দিলে তাহার পরক্ষণ হইতেই সেই ভূতের উপদ্রব বন্ধ হইয়া গেল।

 

কলিকাতা মাণিকতলা শ্রীযুক্ত বাবু গৌরচন্দ্র নন্দী-মহাশয়ের আপার সার্কুলার রোডের বাটীতে প্রায় তিন বৎসর পূর্ব্বে একজন পৌঢ়া রমণীর ভূতাবেশ হয়। লোককে ভূতে ধরিলে যেরূপ ব্যবহার ও কথাবর্ত্তার গল্প শুনিতে পাওয়া যায় তিনি সেইরূপ করিতেন। নানারূপ চিকিৎসা ও ভূতুড়ে চিকিৎসা অবলম্বন সত্ত্বেও কোন ফল হইল না। ভুবনচন্দ্র নাথ নামক একটি পূর্ব্ববঙ্গবাসী বালক সেই বাড়ীতে থকিয়া কলেজে অধ্যয়ন করিত। সে একদিন শ্রীশ্রীঠাকুরের একখানা ফটো আনিয়া ঐ ভূতাবিষ্ট ব্যক্তিকে দেখাইলে তিনি বিকট চীৎকার করিতে- করিতে বলিতে লাগিলেন- “ও কার চেহারা, ওটা শীগগির সরিয়ে ফেল, ওটি আমি দেখতে পারব না, দেখলে আমার বড় ভয় হয়। আমি এখনি তোমাদের বাড়ী থেকে যাচ্ছি।” যে-ঘরের দরজায় ঐ ফটো রাখা হইত সে-ঘরে এ-রমণী যাইতে পারিতেন না। ১৪৮ নং মানিকতলা রোডের ওরিয়েন্টাল মেডিকেল স্টোর নামক ডাক্তারখানার মালিক শ্রীযুক্ত বাবু নগেন্দ্রনাথ ঘোষাল মহাশয় সেই
ফটোখানি দিয়াছিলেন। তিনি তাঁহার ফটো লইয়া যাইবার পর ঐ স্ত্রীলোকটির পুনরায় ভূতাবেশ হইল। তখন তাঁহার একখানা ফটো কিনিয়া ঘরে রাখিয়া দিলে ভূত ছাড়িয়া গেল, আর আসিল না।

 

হিমাইতপুর গ্রামে এক সময়ে খুব কলেরা হইতেছিল। শ্রীশ্রীঠাকুর রত্রিকালে রাস্তায় গমন করিতে-করিতে দেখিলেন যেন একটি স্ত্রীমূর্ত্তি তাঁহার সম্মুখ দিয়া যাইতেছে। তিনি তাহার দিকে মনোযোগ দিবামাত্র তাঁহার ললাট হইতে একটি উজ্জল আলো ছুটিয়া ঐ স্ত্রী-মূর্ত্তির দিকে গেল। মূর্ত্তি খুব বেগে দৌড়াইতে লাগিল। আলোটিও তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিতে থাকিল। পরে সেই স্ত্রীমূর্ত্তি আকাশে উঠিয়া শূন্যমার্গে চলিতে লাগিল, আলোটিও তাহার পশ্চাদনুসরণ করিতে লাগিল। শেষে ৫/৬ মাইল দূরে ঠিক যেন দোগাছি গ্রামে স্ত্রীমূর্ত্তিটি অবতীর্ণ হইল।আলোটি ফিরিয়া আসিল পরদিনই হিমাইতপুরের কলেরা বন্ধ হইল এবং দোগাছিতে কলেরা আরম্ভ হইল।

 

স্ত্রী-পুরুষে ভেদ-জ্ঞান রাহিত্য ভাবঃ
আজুদিয়া সীতানাথ বাবুর বাড়ীতে একদিন এক গৃহমধ্যে শ্রীশ্রীঠাকুর আমাকে বলিলেন- “আপনাকে নির্জ্জনে পেলে একটা কথা বলবো মনে করি, কিন্তু আপনাকে নির্জ্জনে একাকী পাই না। দেখুন, অনেক সময় ভালবেসে আপনাদিগকে চেপে ধরি, কখন বা কাহাকেও কামড়াইয়া দিই। এমন সময় মন এমন স্তরে থাকে যে, স্ত্রী-পুরুষ ভেদাভেদ জ্ঞান থাকে না। একদিন মার (শ্রীশ্রীজননীর) মাথায় কামড়াইয়া দিয়েছিলাম। যখন স্ত্রীলোক আমার কাছে আসে বা স্ত্রীলোকের নিকটে আমাকে যেতে হয় তখন আমাকে সামলে রাখবার জন্য যদি কোন পুরুষলোক উপস্থিত না থাকে, আর আপনি যদি থাকেন তাহলে স্ত্রীলোক দেখে সরে যাবেন না। আমার কাছে থাকবেন। প্রতিজ্ঞা করুন।” আমি তাহার কথায় স্বীকৃত হইলাম। আবার বলিলেন- “দেখুন সতীশ গোসঁই-এরও ঐরূপ হয়, তাই সে স্ত্রীলোক দেখে অনেক সময় সঙ্কুচিত হয় না। তাইতো লোকে কত কথা বলে। তার কিন্তু মাতৃভাব এবং অনেক সময় স্ত্রী-পুরুষ জ্ঞান থাকে না।

 

আরো আপডেট পেতে

Bangla Panjika 2023 Paji 1430 Download করুন

For Bangla Calendar, Bangla Panjika, Bengali Calendar, Horoscope download Bangla Panjika 2023 Paji 1430

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.