ব্রাহ্মণ ছাড়াই কিভাবে জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক করবেন? চলুন জেনে নেই!

শ্রীকৃষ্ণ হলেন সনাতন হিন্দুধর্মে পরম পুরুষোত্তম ভগবান। পুরাণ অনুযায়ী তিনি বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তাঁকে সর্বোচ্চ ভগবান (পরম সত্ত্বা) উপাধিতে ভূষিত করা হয় এবং তিনি ভগবদগীতা-এর উদ্ভাবক। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম উৎসব পালন করা হয়। তিনি স্বয়ং ভগবান। তার আবাসস্থল হল গোলক, বৃন্দাবন, গোকুল, দ্বারকা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্রঃ
“ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়”।
জন্মাষ্টমী বিশেষভাবে পালন করা হয় মথুরা এবং বৃন্দাবনে। এছাড়াও বাংলাদেশের ঢাকা প্রভৃতি জায়গা ও অন্য দেশে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়।

আজকে রাত জেগে কৃষ্ণ সাধনায় মেতে উঠবে গোটা দেশ। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই দিনে অতি প্রতীক্ষিত উত্‍সবটি পালন করে থাকেন। বৈষ্ণবমতে, জন্মাষ্টমীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
জন্মাষ্টমীতে সাধারণত শ্রীকৃষ্ণের শিশুকালের সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে বাড়িতে কৃষ্ণসেবা করেন ভক্তরা। শ্রীদ্ভাগবতের তথ্য অনুযায়ী, কৃষ্ণকে সেবা করার সুযোগ করে দিতে ও প্রভুর কল্পনাকে জাগ্রত করতে বাস্তব রূপ দিতে ভক্তিমূলক পূজা ও সেবায় প্রাণ সঞ্চার করতেই জন্মাষ্টমীর পূজার আয়োজন করা হয়।

পুরাণ মতে, লক্ষ্মী-নারায়ণ থেকে রাধা-কৃষ্ণের জন্ম যাহা বিষ্ণু ও লক্ষীর অবতার, নারায়ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে নিষ্ঠা ভরে নিয়ম-কানুন মেনে সপরিবারে সেই মূর্তির পূজা করার নিয়ম রয়েছে। তাই এই জন্মাষ্টমীতে ব্রাহ্মণ ছাড়াই শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক ও পূজা করতে পারেন ভক্তরা।
গোপালের পূজা যদি বাড়িতে নিজে করতে চান, তাহলে মধ্যরাত থেকে নির্জলা উপবাস করা উচিত। শরীর অসুস্থ থাকলে একাদশীর মতো একবেলা উপবাস রাখতে পারেন। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে কীর্তন করা অত্যাবশ্যক। পরিবারের সবাই মিলে হাততালি দিয়ে বা ঢোল বাজিয়ে কীর্তন করতে পারেন।

★★
শ্রীকৃষ্ণের অভিষেক যদি বাড়িতে করতে চান তাহলে ৫টি পঞ্চামৃত ব্যবহার করে খুব সহজেই কৃষ্ণের অভিষেক করতে পারেন। দুধ, চিনির জল, দধি, ঘি, মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহকে স্নান করাতে পারেন।
অভিষেক করানোর আগে এই ৫টি জিনিস অবশ্যই হাতের কাছে রাখবেন। এবার কৃষ্ণের মূর্তিকে সামান্য উষ্ণ জলে স্নান করিয়ে পরিষ্কার করে সুন্দর ও নতুন পোশাক পরিধান করান।

★★
শুধু জল দিয়ে নয়, শ্রীকৃষ্ণের বিগ্রহকে ফুলের পাপড়ি দিয়েও অভিষেক করাতে পারেন। বিভিন্ন রকমের ফুলের পাপড়ি মূর্তির উপর ছড়িয়ে দিয়েও অভিষেক করান। সেই ফুল প্রসাদ হিসেবে পরিবারের কাছে ও ভক্তদের কাছে বিতরণ করতে পারেন।
অভিষেকের পাশাপাশি ভোগ নিবেদন করাও নিয়ম মেনে করা প্রয়োজন। কৃষ্ণকে ভোগ রেঁধে সব পদ আলাদা আলাদা পাত্রের নিবেদন করা নিয়ম রয়েছে। একটি তামার বাসনে সাজিয়ে মূর্তির সামনে রেখে দিন। এরপর ভোগ গ্রহণ করার জন্য কাঁসা, ঘন্টা, শঙ্খ বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে ভগবানকে আহবান করুন। এতে তিনি অত্যন্ত প্রসন্ন ও সন্তুষ্ট হবেন।

 

আরো আপডেট পেতে

Bangla Panjika 2023 Paji 1430 Download করুন

For Bangla Calendar, Bangla Panjika, Bengali Calendar, Horoscope download Bangla Panjika 2023 Paji 1430

error: Content is protected !! Without permission do not copy the content. We will sue you if you copy the content without permission.